করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে ফের লকডাউনের আশঙ্কা মুম্বইয়ে, ইঙ্গিত শিবসেনার মুখপত্রে
করোনা আক্রমণের প্রথম থেকেই দেশে প্রধান হটস্পট বলে চিহ্নিত ছিল মহারাষ্ট্র। টিকাকরণ শুরু হলেও পুনরায় সেই মহারাষ্ট্রের উপরেই ঘনাচ্ছে মারণব্যাধির ছায়া। প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যা লাগামছাড়াভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে মুম্বই সহ অন্যান্য ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ফের লকডাউনের ইঙ্গিত মিলেছে প্রশাসনিক মহল থেকেই। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে দেশের কোভিড তালিকায ফের ভয় ধরাচ্ছে মহারাষ্ট্র!

কড়া বার্তা মুম্বই প্রশাসনের
ক্রমবর্ধমান কোভিড আক্রান্তের জেরে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন বৃহনমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-এর অতিরিক্ত মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সুরেশ কাকানি। তাঁর সাফ বক্তব্য, "মানুষ কোভিড বিধি না মানলে এবং আক্রান্তের সংখ্যা একইভাবে বাড়লে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিএমসি কঠিন পদক্ষেপ নেবে।" ইতিমধ্যেই পশ্চিম-মুম্বইয়ে নতুন স্বাস্থ্যবিধি চালু হয়েছে বলে খবর সূত্রের। পাশাপাশি শিবসেনার দলীয় মুখপত্র 'সামানা' সরাসরি লকডাউনের উল্লেখ করায় আবারও গৃহবন্দি হওয়ার আশঙ্কায় জনসাধারণ।

কোভিড আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী
ইতিপূর্বে জনসাধারণের বিরুদ্ধে করোনাবিধি না মানার অভিযোগ তুলেছিলেন মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেদনেকার। এরই মাঝে আবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী রাজেন্দ্র সিঙ্গনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের থানে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ২.৫৮ লক্ষের মাত্রা! পাশাপাশি কোভিড আক্রান্ত হয়ে সোমবার নতুন করে মারা গেছেন একজন, ফলে মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমানে ৬,২০৩ জন।

বাড়ছে উদ্বেগ
বর্তমানে থানে জেলায় কোভিড মৃত্যুর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৪১ শতাংশ, মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর এমনটাই। পাশাপাশি পালঘর জেলাতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে কেরল ও মহারাষ্ট্রে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ে হকারদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এদিকে কেন্দ্রীয় মুখ্য স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬১,৫৫০ জন ও কেরলে ৩৭,৩৮৩ জন।

মানুষের অসাবধানতা ও কম করোনা পরীক্ষাকে দায়ী
ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, বর্তমানে ভারতের মোট সক্রিয় আক্রান্তের ৭২%-এর বাস কেরল ও মহারাষ্ট্রে! এহেন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে অপর্যাপ্ত আরটি-পিসিআর পরীক্ষাকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তাঁর মতে, "মহারাষ্ট্রে ট্রেনে-বাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই যাতায়াত করেছেন নাগরিকরা। পাশাপাশি কেরলে উৎসবের সময়ে দেদার মাস্ক খুলে ঘুরেছেন মানুষ। তাছাড়া আরটি-পিসিআর পরীক্ষাও কম হয়েছে এই দুই রাজ্যে।"
ভাবমূর্তি ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি, কৃষি আইন নিয়ে জনভিত্তি ফিরে পেতে নয়া ছক পদ্ম শিবিরের