বিজেপি-শিবসেনা বাকযুদ্ধ অব্যাহত, ভারতীয় জনতা পার্টিকে এবার হিটলারের সঙ্গে তুলনা শিবসেনা মুখপত্রের
বিজেপি-শিবসেনা বাকযুদ্ধ অব্যাহত, ভারতীয় জনতা পার্টিকে এবার হিটলারের সঙ্গে শিবসেনা মুখপত্রের
মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রীত্বের লড়াইয়ের মাঝেই এবার বিজেপির তীব্র সমালোচনা শিবসেনা মুখপত্রের। দলীয় মুখপত্র 'সামনাতে’ ভারতীয় জনতা পার্টিকে জার্মান স্বৈরশাসক অ্যাডলফ হিটলারের সাথে তুলনা করে শিবসেনা বলেছে যে “মহারাষ্ট্র কেন্দ্র সরকারের দাস নয়।”
বিজেপি প্রসঙ্গে খড়গহস্ত সামানা বলে বলে,যে দল রাজনীতিতে ভয়ের আবহ তৈরি করে পাঁচ বছর ধরে রাজত্ব করে, তারাই পরবর্তীতে বিস্মিত হয়ে পড়ে। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নামই আবার আগামী মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন।”
সামানা জানায়, তারপরেও মহারাষ্ট্রের সমস্ত কর্মসূচী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দূরে থাকায় মোদীর নাম ঘোষণার পরও শপথ নিতে পারেননি দিল্লির আশীর্বাদধন্য ফড়নবিস। 'মহাযুতির' সবথেকে বৃহত্তম দল শিবসেনা। বর্তমানে তারা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কোনও রকম বোঝাপড়া বা কথা বলতে রাজি নয়। এটিই বিজেপির সবচেয়ে বড় পরাজয় বলে মনে করে শিবসেনা মুখপত্র। তাদের প্রতিবেদনে তারা এও জনায় সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই সিদ্ধান্ত নেবেন মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রীকে হবেন।
মহারাষ্ট্র কেন্দ্রের দাস নয়
সামানা তাদের সম্পাদকীয়তে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলে, "ভয়ের রাজনীতিও ক্ষমতাসীন দলকে জোট গঠনে সহায়তা করতে পারেনি। বিজেপির উচিত তার ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নেওয়া। হিটলারের মৃত্যুর পর তার দাসত্বের ছায়াও অদৃশ্য হয়ে গেছে।" যারা মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে তাদের জন্য এটা একটা বড়সড় শিক্ষা বলেও মনে করে সামান। শিবসেনা সম্পাদকীয় এদিন জোর দিয়ে বলে "মহারাষ্ট্রের রাজনীতি রাজ্যের অভ্যন্তরেই থাকা উচিত। কারণ মহারাষ্ট্র কেন্দ্রের দলদাস নয়।"
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ দেবেন্দ্র ফড়নবিসের
মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি শনিবার বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসকে নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান। একক বৃহত্তম দল হিসাবে রাজ্যে সরকার গঠনেরও ইঙ্গিত দেন, পাশাপাশি সোমবার রাত ৮ টার মধ্যে বিজেপিকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার কথাও বলেন রাজ্যপাল। যদিও বিজেপিকে সরকার গঠনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। এমতাবস্থায় রাজ্যপাল মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্টি শিবসেনাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাতে পারেন।
সরকার গঠনে হতে পারে শিবসেনা-এনসিপি জোট
এই মুহূর্তে শিবসেনার বিধানসভায় আসন সংখ্যা ৫৬। সেই ক্ষেত্রে শিবসেনার এনসিপি ও কংগ্রেসের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। এমতাবস্থায় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট পাকাপাকি ভাবে হলে সরকার গঠন সম্ভব হতে পারে। তখন বিধানসভায় এই জোট সরকারের শরিক দলের বিধায়কের সংখ্যা হবে যথাক্রমে শিবসেনা ৫৬, নির্দল ৭, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেসের ৪৪।
মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে সরকার গঠনের আহ্বানের পর নতুন চাল এনসিপির, কী করবে শিবসেনা?