
বন্দুকবাজ হামলায় নিহত শিবসেনা নেতা সুধীর সুরি, বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন অতর্কিতে গুলি
বিক্ষোভ চলাকালীন শিবসেনা নেতা সুধীর সুরিকে গুলি করে হত্যা করা হল। শুক্রবার পাঞ্জাবের অমৃতসরে দুই হামলাকারী শিবসেনা নেতাকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, অমৃতসরের মাজিথা রোডে একটি মন্দিরের বাইরে যেখানে সুরি এবং দলের অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভ করছিলেন, তখনই গুলি চলে।

পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেই দুই হামলাকারীর একজনকে গ্রেফতার করেছে। অপরজন পালিয়ে যায়। বন্দুকবাজ হামলার ঘটনায় অমৃতসরের পুলিশ কমিশনার অরুণপাল সিং বলেন, আন্দোলনের সময় সুধীর সুরিকে লক্ষ্য করে মন্দিরের বাইরে গুলি করা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কী কারণে শিবসেনা নেতা সুধীর সুরিকে হত্যা করা হল। এই ঘটনার পিছন কে কা কারা থাকতে পারে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্ত যে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, কেন খুন করা হল, কী ছিল এই খুনের মোটিভ। অপর অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
শিবসেনা নেতা সধীর সুরিকে হত্যার ঘটনার প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতা তাজিন্দার সিং বাগ্গা এই মর্মে রাজ্যের আম আদমি পার্টির সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, পাঞ্জাবে এই সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সেই কারণেই বিরোধী নেতাদের নিরাপত্তাও নেই। পাঞ্জাবের বিজেপি সভাপতি অশ্বীনি শর্মাও তীব্র নিন্দা করেছেন পাঞ্জাবের আপ সরকারের। অযোগ্য হাতে সরকার পড়েছে বলেই এত বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে এই ক-দিনেই।
সুধীর সুরি একজন হিন্দুত্ববাদী ডানপন্থী নেতা। এদিন যখন ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে, তখন তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা মন্দিরের বাইরে বসে ব্যবস্থাপনার বিরোধিতায় প্রতিবাদ করছিলেন। সুরি দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কয়েকটি গ্যাংস্টারের হিট লিস্টে ছিলেন। সেই কারণে আট পুলিশ অফিসারকে তাঁর নিরাপত্তায় বহার করা হয়েছিল। তারপরও তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারল না পুলিশ।
শিবসেনা নেতা সুধীর সুরি চিরকালই পরিচিত ছিলেন বিতর্কিত নেতা হিসেবে। সর্বদাই তিনি বিতর্ককে আকর্ষণ করেছেন। গত বছর জুলাই মাসে তিনি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওর মাধ্যমে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। এবং একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছিলেন। তার ফলে তিনি শিরোনামে উঠে আসেন। এবং তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।