রামমন্দির তৈরির তারিখ জানান, বিজেপির উপর চাপ বাড়ালেন শিবসেনা প্রধান
দুই দিনের সফরে অযোধ্যায় পৌঁছে গেলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সরযূ নদীর তীরে আরতি করলেন সপরিবারে। দিলেন রামমন্দির নির্মাণের অমোঘ বার্তা।
একটাই প্রশ্ন উঠে পড়েছে অযোধ্যায়- ১৯৯২ সাল ফিরে আসবে না তো! তার জন্য অবশ্য কোমর বেঁধেছে প্রশাসন। মোতায়েন করেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী, প্রয়োজনে নামানো হবে সেনা। এরই মধ্যে দুই দিনের সফরে অযোধ্যায় পৌঁছে গেলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। সরযূ নদীর তীরে আরতি করলেন সপরিবারে। দিলেন রামমন্দির নির্মাণের অমোঘ বার্তা।
শ্রীরামচন্দ্রের স্মরণে আরতির আগে শিব সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন শিবসেনা প্রধান। বলেন, এটা আমার রাজনৈতিক সফর নয়। বহুদিন ধরে শুনতে পাচ্ছি রামমন্দির হবে। এবার জানতে চাই কবে হবে। জানতে চাই রামমন্দির তৈরির তারিখ। তার জন্যই আমার অযোধ্যা-যাত্রা।
এদিন রামমন্দির তৈরির উদ্দেশ্যে এই আশীর্বাদ যাত্রায় অংশ নেন উদ্ধব। তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা জানান। অযোধ্যা দুদিনের সফরে রাম মন্দিরের স্থানও দর্শন করবেন তিনি। জনসভাও করবেন। রাম মন্দির নিয়ে যাতে তাড়াতাড়ি অধ্যাদেশ আনা হয় তাকে তরান্বিত করতেই উদ্ধব অযোধ্যায় এসেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতির মহল।
শিবসেনা ও বিশ্বহিন্দু পরিষদের বিপুল সমর্থকরা অযোধ্যায় ভিড় করায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শিবসেনা বিজেপির সঙ্গী দল হলেও কড়া বিরোধিতা করে এসেছে নানা সময়ে। রাম মন্দিরের অধ্যাদেশ আনতেও বিজেপিকে চাপ দিয়ে চলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। সেই চাপ আরও বাড়াতেই উদ্ধব ঠাকরের অযোধ্যায় আসা।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি নতুন স্লোগান দেন, আগে মন্দির তারপরে সরকার। মানুষকে দিনের পর দিন বোকা বানানো হচ্ছে বলে তিনি ঘুরিয়ে তোপ দেগেছেন। তাঁর অযোধ্যায় উপস্থিতি পরিস্থিতি কোন দিকে নিয়ে যায় সেদিকেই নজর দেশের। রবিবার অযোধ্যায় ধর্মসভার আগে ফউটছো শহর। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অস্থিরতা প্রকাশ পেয়েছে।
এলাকার মুসলিমদের মধ্যে ১৯৯২-এর স্মৃতি ভাসতে শুরু করেছে। সেবারও করসেবক ও শিবসেনা কর্মীরা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেছিল। দাঙ্গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। সেই আতঙ্কেই অনেক পরিবার ইতিমধ্যে শহর থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু আমরা ভয় পাচ্ছি ১৯৯২-এর পুনরাবৃত্তি হবে না তো!