মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন! সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন শিবসেনার
মহারাষ্ট্রে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করল শিবসেনা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রিট পিটিশনে রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করল শিবসেনা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রিট পিটিশনে রাজ্যপালের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এদিন সকাল ৭.৩০ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন যথাক্রমে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার। যার ফলে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি জোটের সরকার গঠনের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
অন্য একটি সূত্রে থেকে জানা যাচ্ছে রিট পিটিশনে শিবসেনা ছাড়াও রয়েছে কংগ্রেস ও এনসিপির আবেদন। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে ফড়নবিশ এবং পাওয়ার শপথগ্রহণ নিয়েও। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের কাজকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হোক আর শিবসেনা-এনসিপি এবং কংগ্রেস জোটকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানানো হোক।
Shiv Sena: Shiv Sena has filed a writ petition in the Supreme Court against Devendra Fadnavis and Ajit Pawar taking oath as CM and Deputy CM of Maharashtra respectively. #Maharashtra pic.twitter.com/AoyIwrp48T
— ANI (@ANI) November 23, 2019
সরকার গঠনের সমর্থনে অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের রায়কে অসম্মান করেছে শিবসেনা, এদিন এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষ স্পষ্ট জনাদেশ দিয়েছে, কিন্তু শিবসেনা অন্যদলগুলিকে নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার জরুরি ছিল। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের সুযোগ জানানোর জন্য।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন নির্দল বিধায়কও বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। এরপরেই বিজেপি সরকার গঠনের দাবি জানায়।
শুক্রবার বিকেলে শারদ পাওয়ার বলেছিলেন, নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন উদ্ধব ঠাকরে। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী তরফে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শেষ হয়ে যায়। তিন দল মিলে নতুন সরকারের জন্য, ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচিও তৈরি করে ফেলে।