মোদীর স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনায় শিবসেনা
মোদীর স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনায় শিবসেনা
ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প মুম্বই–আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে দিয়েছিল শিবসেনা–কংগ্রেস। তারা স্পষ্ট জানিয়েছিল যে নতুন সরকারের ওই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করার কোনও ইচ্ছা নেই। তবে মঙ্গলবার আবার অন্য সুর শোনা গেল রাজ্যের মহা বিকাশ আগাদি সরকারের গলায়। সরকার জানিয়েছে, মুম্বই–আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেনের মতো মেগা–প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্যের ঘাড়ে ৬.৭১ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা চাপবে, তাই বিষয়টি এখন ভাবনা–চিন্তার স্তরে আছে। এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল।
তিনি জানিয়েছেন, ৪.৭১ লক্ষ টাকা ঝণের পাশাপাশি প্রকল্পটি শুরু করার জন্য আরও ২ লক্ষ টাকার ঋণ চাপবে রাজ্যের কাঁধে। জয়ন্ত পাটিল বলেন, 'রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কোন কোন প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ এবং বুলেট ট্রেন প্রকল্পটিকে এখনকার মতো স্থগিত রাখা যায় কিনা, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করছি আমরা।’ কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে বিজেপি–সরকারের আমলের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে বিশেষ করে বুলেট ট্রেনের মতো বড় প্রকল্পটির পর্যালোচনা করা হোক। রাজ্যের পক্ষ থেকে বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়ে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে রাজ্যের দায়বদ্ধতা কতটা তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প নিয়ে পালঘর প্রদেশের কৃষক ও আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে।
গত রবিবারই ঠাকরে জানিয়েছেন যে সরকার কৃষকদের ঋণ মকুব করবে। জয়ন্ত পাটিল জানান, সম্প্রতি অসময়ের বৃষ্টি এবং বন্যায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সরকার কৃষকদের সাহায্য করতে ত্রাণ দেওয়ার উপায় তনির্ধারণ করছে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কংগ্রেসের মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত জানান, বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি দেশ বা রাজ্যের আসল উদ্দেশ্য বা যথাযথ উপযোগিতা সাধন ছাড়াই বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, 'মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাটে ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পের জন্ম দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাটের বিমান ভাড়া তিন হাজার টাকা, কিন্তু বুলেট ট্রেনের ভাড়া চারগুণ বেশি। কে এটি বহন করবে? এবং কিভাবে তা কার্যকর হবে?’ কংগ্রেস মুখপাত্র জানান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশও বুলেট ট্রেন প্রকল্পকে না করে দিয়েছে, সেখানে ভারত বুলেট ট্রেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যদিও উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন যে বুলেট ট্রেন প্রকল্প এখনই নয়, পর্যালোচনার পরই তা এগোবে।
আগামী দশ বছরের জন্য এসসি, এসটি সংরক্ষণের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা