এনডিএ–কে কম কথা বলে কাজ বেশি করার উপদেশ শিবসেনার সম্পাদকীয় ‘সামনা’য়
এনডিএ–কে কম কথা বলে কাজ বেশি করার উপদেশ শিবসেনার সম্পাদকীয় ‘সামনা’য়
বিজেপি
তথা
এনডিএ–এর
প্রাক্তন
জোট
সঙ্গী
শিবসেনা
ফের
কেন্দ্রে
নরেন্দ্র
মোদী
সরকারের
সমালোচনায়
সরব
হল।
শিবসেনা
কেন্দ্রের
ওপর
অভিযোগ
তুলেছে
যে
৩৭০
অনুচ্ছেদ
ও
নাগরিকত্ব
সংশোধনী
আইনের
মতো
বিষয়গুলি
নিয়ে
কেন্দ্র
রাজনৈতিক
ফায়দা
তুলতে
চাইছে।
মোদী–শাহকে তোপ সামনার
শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা'-তে বিজেপিকে নিয়ে কড়া শব্দ লেখা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে গিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং জানিয়েছে যে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসা সত্ত্বেও মোদী ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও সিএএ প্রত্যাহার করছেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে ‘সামনা' সম্পাদকীয়তে জানানো হয়েছে যে ‘এই দু'জন অনবরত দাবি করে আসছেন যে যতই চাপ দেওয়া হোক না কেন ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না কিন্তু আমরা জানতে চাই যে এটি প্রত্যাহার করার জন্য কারা চাপ দিচ্ছে।' সরকাররে সিদ্ধান্তের ফলাফল কি হয়েছে সম্পাদকীয়তে এও জানতে চাওয়া হয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘সিএএ নিয়ে এখনও প্রতিবাদ চলছে এবং কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে এখনও রহস্য রয়েছে। এমনকী ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির পরও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্ভোগ দূর হয়নি। ৩৭০ অনুচ্ছেদ যখন ছিল তখনও যা পরিস্থিতি ছিল এখনও তাই রয়েছে, কোনও পরিবর্তন হয়নি।'
কম কথা কাজ বেশি
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে শিবসেনা পরামর্শ দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী শাহ তাঁদের বক্তৃতা থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও সিএএ নিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ শব্দগুলিকে বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত, এমনিতেও তা দিল্লি বিধানসভায় কোনও কাজে লাগেনি। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদের অবলুপ্তির পর কাশ্মীরকে ভারতের অংশ করা হয়েছে এটা সরকারের বলা উচিত নয়। এটি ভুল, কারণ আমাদের সৈন্যদের বীরত্ব ও ত্যাগের কারণে কাশ্মীর দীর্ঘদিন ধরে দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল।' সিএএ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে কেন্দ্রকে পূর্ণ সমর্থন করে উদ্ধব ঠাকরের দল জানিয়েছে যে এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়াতে হবে, তবে এর পাশাপাশি সরকারকে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে এবং কথা কম বলতে হবে।
ট্রাম্প সফর নিয়ে শিবসেনার কটাক্ষ
সোমবার প্রকাশিত এই সম্পাদকীয়তে শিবসেনা দাবি করেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফর নিয়ে দেশজুড়ে যে প্রস্তুতি চলছে তা ভারতীয়দের ‘দাসত্ব মানসিকতা'র পরিচয় দেয়। ট্রাম্পের ভারত সফর এমন মনে হচ্ছে যে কোনও ‘বাদশা' আসছেন এই দেশ সফরে। আহমেদাবাদ বস্তি এলাকাগুলি ঢাকতে পাঁচিল তৈরি হওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে শিবসেনা। সেনা জানিয়েছে যে মার্কিন রাষ্ট্রপতির এই সফর বিদেশী মুদ্রার বাজারে টাকার মূল্য হ্রাস বন্ধ করবে না বা প্রাচীরের পিছনে থাকা বাসিন্দাদের (বস্তিবাসীদের) উন্নতি করবে না। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘স্বাধীনতার আগে, ব্রিটিশ রাজা বা রাণী ভারতের মতো দাসেদের দেশ সফরে আসতেন। ট্রাম্পের আগমনের জন্য করদাতাদের অর্থ দিয়ে যে ধরণের প্রস্তুতি চলছে তা এর সঙ্গে মিল রয়েছে। এটি ভারতীয়দের দাসত্ব মানসিকতা প্রতিফলিত করে।'