বিজেপি ক্ষমতার লোভে মত্ত! সত্যের জন্য দেশজুড়ে লড়াইয়ের ডাক সেনাপ্রধান উদ্ধবের
শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের জানিয়েছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য লালায়িত নই, তবে ক্ষমতার খেলায় যারা মত্ত, তাদের পরাস্ত করতে চাই। আমাদের লড়াই সত্যমেব জয়তের জন্য, সত্তা-মেবজয়তের জন্য নয়।
মহারাষ্ট্রে শক্তি প্রদর্শন করে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি এক বাক্যে বার্তা দিয়েছে 'আমরা ১৬২'। এই শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ থেকে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের জানিয়েছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য লালায়িত নই, তবে ক্ষমতার খেলায় যারা মত্ত, তাদের পরাস্ত করতে চাই। আমাদের লড়াই সত্যমেব জয়তের জন্য, সত্তা-মেব জয়তের জন্য নয়।
|
এই লড়াই সত্যের লড়াই
তিনি বলেন, আমরা জিতবই। আমরা আমরা বিজেপির এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করব। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, বিজেপির অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বত্রই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে যাব। গোটা ভারতজুড়েই আমাদের লড়াই চলবে। এই লড়াই সত্যের লড়াই। মিথ্যা দিয়ে তাকে ভাঙা যাবে না।
|
একতার বার্তা কংগ্রেস-এনসিপিরও
একা উদ্ধব ঠাকরে নন, একতার বার্তা দেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারও। শারদ পাওয়ার বলেন, এটা মহারাষ্ট্র। এখানে অন্যায় করে মিথ্যা দিয়ে জয়লাভ করা যায় না। মহারাষ্ট্রে সত্যের জয় হবে। আমরা যে এক এবং সংঘবদ্ধ তা দেখিয়ে দিলাম। আমরা ১৬২। আরও বাড়ব আমরা।
|
শক্তি প্রদর্শন শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির
সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি ও শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট হলফনামা পেশ করার পর এদিনই শক্তি প্রদর্শন করে দেখাল। ১৬২ জন বিধায়ককে এক জায়গায় এনে তিন পার্টি জানিয়ে দিল, তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড হায়াতে ১৬২ জন বিধায়ককে জড়ো করে বিজেপি ও রাজ্যপালকে একযোগে চ্যালেঞ্জ ছুড়ল কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা।
|
বিজেপি মহারাষ্ট্রে সংখ্যালঘু, দেখাল সম্মেলন
বিজেপি যে মহারাষ্ট্রে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করেছে এবং রাজ্যপাল যে এতদিন পর সংখ্যালঘু সরকারকেই শপথ করিয়েছেন, তা দেখানোর উদ্দেশ্যেই এই সম্মেলন। শক্তি প্রদর্শন করে শিবসেনা, এনসিপি আর কংগ্রেসের ১৬২ জন বিধায়ককে একসঙ্গে রয়েছেন।
|
তিন পার্টি, এক আওয়াজ মহারাষ্ট্রে
এদিন শিবসেনা দাবি করেছে, বিজেপির থেকে অন্তত ১০ জন বেশি বিধায়ক তাদের সঙ্গে আছেন।এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে তারা জানিয়েছিলে, ১৫৪ জন বিধায়ক রয়েছেন তাদের সঙ্গে। শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের দাবি, তাদের সঙ্গে রয়েছেন শিবসেনার ৪৮ জন ও কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক ছাড়াও এনসিপির ৪৮ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন। আর ছ-জন নির্দল বিধাকের সমর্থনও তাঁদের পক্ষে। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠ সমর্থন তাদের দিকেই।