অসমের পর এবার মুম্বই, দিল্লিতেও হতে চলেছে এনআরসি
অসমের পর্ব মিটতে না মিটতেই আরও দুই শহরে হতে চলেছে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। এমনই সুর শোনা যাচ্ছে বিজেপি সরকারের কণ্ঠে।
অসমের পর্ব মিটতে না মিটতেই আরও দুই শহরে হতে চলেছে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। এমনই সুর শোনা যাচ্ছে বিজেপি সরকারের কণ্ঠে। আজই অসমে প্রকাশিত হয়েছে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। তাতে ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ গিয়েছে। তাই রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হলেও দেশের আরও রাজ্যে এই এনআরসি চালু করা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে বিজেপি এবং তার শরিক দলগুলি।
অসমের পর এবার মুম্বই এবং দিল্লিতেও তৈরি হবে এনআরসি। এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি সরকার। ইতিমধ্যেই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে মুম্বইয়ে এনআরসি চালুর দাবি জানিয়েছেন। বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশকারী শরণার্থী চিহ্নিতকরণের জন্য মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে শিবসেনা এবং মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ন্ত। তাঁরা বলেছেন অসমের মতো মেট্রোপলিটন শহরগুলিতেও এনআরসি করা জরুরি। শিবসেনাই প্রথম এনআরসির দাবিতে সোচ্চার হতেছিল বলে দাবি করেছেন উদ্ধবর ঠাকরে।
শুধু
অসম
নয়,
দেশের
একাধিক
মেট্রোপলিটন
শহরেও
বেআইনি
অনুপ্রবেশকারীদের
সংখ্যা
বাড়ছে
বলে
দাবি
করেছেন
দিল্লির
বিজেপি
নেতা
মনোজ
তিওয়ারি।
দিল্লির
মতো
শহরে
বেআইনি
অনুপ্রবেশকারীর
সংখ্যা
ভয়ঙ্করভাবে
বেড়ে
গিয়েছে
বলে
দাবি
করেছেন
তিনি।
কয়েকদিন
আগেই
দিল্লিতে
রোহিঙ্গা
শরণার্থীদের
সন্ধান
পাওয়া
গিয়েছিল।
এঁদের
চিহ্নিত
করার
জন্য
অবিলম্বে
রাজধানী
দিল্লিতে
এনআরসি
চালু
করতে
বলেছেন
মনোজ।
টুইটারে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন দিল্লিতে উল্লেখযোগ্য হারে রোহিঙ্গা এবং বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে তাঁরা আধার কার্ড এবং রেশন কার্ডও করিয়ে নিয়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গে নাকি এক কোটিরও বেশি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। তাঁদের চিহ্নিত করতে মোদী সরকারের উচিত অবিলম্বে এনআরসি চালু করা। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এনআরসির দাবি জানিয়েছেন।