মহারাষ্ট্রে সাধারণ ন্যূনতম প্রস্তাব পেশ করল শিবসেনার জোট সরকার
জোট গড়ার নেপথ্যে এই সাধারণ ন্যূনতম প্রস্তাব ছিল অন্যতম কারণ। এই প্রস্তাবে তিন দল একমত হওয়ার পরেই জোটের পথ সুগম হয়েছিল।
জোট গড়ার নেপথ্যে এই সাধারণ ন্যূনতম প্রস্তাব ছিল অন্যতম কারণ। এই প্রস্তাবে তিন দল একমত হওয়ার পরেই জোটের পথ সুগম হয়েছিল। শিবাজি পার্কে শপথ গ্রহনের আগেই সেই সূচি প্রকাশ করল শিবসেনা-কংগ্রেস ও এনসিপি জোট।
হিন্দুত্বের উর্ধ্বে উঠে রাজ্য পরিচালনার সিদ্ধান্ত
শিবসেনা হিন্দুত্ববাদী দল হলেও সরকার গঠনের পর তাকে সেই সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে উঠেই কাজ করতে হবে। এমনই সিদ্ধান্তে সিলমোহল দিয়েছে জোট। রাজ্যের বাসিন্দাদের সেরাটা দেওয়ার সিদ্ধান্তেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তিনদল। সূত্রের খবর ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি বাদ দিতে চেয়েছিল শিবসেনা। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কংগ্রেস এবং এনসিপি। সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি রেখেই এই সাধারণ ন্যূনতম প্রস্তাব তৈরি হয়েছে।
কৃষকদের উন্নয়ন
নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই মহারাষ্ট্রের কৃষকদের অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিল। জোট গড়ার পরেও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়ে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের অবস্থা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেকারণেই শিবসেনা জোট সরকারের সাধারণ ন্যূনতম প্রস্তাবে রাজ্যের কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। কৃষকদের ঋণ মকুব থেকে শুরু করে শস্য বিমা সহ একাধিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় যুবাদের কর্মসংস্থানে ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল কর্মসংস্থান। রাজ্য সরকারি চাকরিতে স্থানীয় যুবকদের ৮০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শিবসেনা-কংগ্রে-এনসিপি জোটের মহা বিকাশ আঘাডি। নির্বাচনি ইস্তেহারেও শিবসেনার কর্মসংস্থানের কথা বলেছিল। কংগ্রেস এবং এনসিপির ইস্তেহারও সেকথা ছিল। তবে সংরক্ষণ নিয়ে একটু বেশিই তৎপর ছিস শিবসেনা। এছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, নারী ও শিশুকল্যাণ সহ একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যবাসীকে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এই সাধারণ ন্যূনতম প্রস্তাবে।