রাষ্ট্রপতি শাসনের আড়ালে হর্স ট্রেডিংয়ে মেতেছে বিজেপি, অভিযোগ শিবসেনার
ফের বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ আনল শিবসেনা। শিবসেনার মুখপত্র সামনার একটি প্রতিবেদনে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে অভিযোগ করে লেখা হয়, "রাষ্ট্রপতি শাসনের আড়ালে বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচাতে মেতেছে।"
সামনার প্রতিবেদন
সামনার প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়, "একটি দল যারা ১০৫টা আসন পেয়েছে, তারা রাজ্যপালকে জানায় যে তাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাহলে তারা এখন কি করে তারা সরকার গঠনের দাবি জানাচ্ছে? এর থেকেই বিজেপির বিধআয়ক কেনাবেচার খেলা সামনে এসে পড়েছে। তাদের স্বচ্ছ সরকার চালোনোর কথা বলছে। তাদের নোংরা রাজনীতির পর্দা ফাস হয়েছে।"
বিজেপির দাবি
শুক্রবার মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল গতকাল দাবি করেন যে শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে তারা সরকার গঠন করতে চলেছে। তিনি জানান, তাদের কাছে ১১৯ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এবং এর উপর ভর করে তারা সরকার গঠন করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। পাশাপাশি শুক্রবার এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িও। তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতির তুলনা টেনে বলেছিলেন দুটি প্রায় সমান।
গড়কড়ির মন্তব্যের রেশ
গড়কড়ির সেই মন্তব্যের রেশ ধরেই আজ সামনাতে প্রশন তোলা হয়, ক্রিকেট বর্তমানে খেলার থেকে বেশি একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যআচ্ছে যে আখেরে জিতছে কে? খেলা না ফিক্সিং? তাই গড়কড়ির মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকে ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করাটা যথার্থ। এদিকে এর আগেও বিজেপির বিরুদ্ধে একবার হর্স ট্রেডিংয়ের অভিযোগ এনেছিল শিবসেনা।
এখনও হল না সরকার গঠন
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন, শিবসেনার ঝুলিতে এসেছে ৫৬টি আসন। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। দুই দলের সম্মিলিত সংখ্যা খুব সহজেই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করেছে। কিন্তু সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বাধ সাধে সেনার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি। এরপরই এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে সেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের স্মরণাপন্ন হয়।