অভূতপূর্ব নিরাপত্তার চাদর, শৈলশহর শিলঙে রাজীবকাণ্ডের আঁচ
শিলঙে আজ যেখানে রাজীব কুমারকে জেরা করা হচ্ছে সেটা হল সিবিআই দফতর। শিলঙে-এর একটা হিলটপ অংশে অকল্যান্ড। আর এখানেই রয়েছে সিবিআই দফতর।
শিলঙে আজ যেখানে রাজীব কুমারকে জেরা করা হচ্ছে সেটা হল সিবিআই দফতর। শিলঙে-এর একটা হিলটপ অংশে অকল্যান্ড। আর এখানেই রয়েছে সিবিআই দফতর। আজ সকাল থেকে অকল্যান্ডে সিবিআই-এর দফতরের সামনের রাস্তা একটি লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কড়াকড়ি এতটাই যে সংবাদ মাধ্যমকেও সিবিআই দফতরের ১০০ গজের মধ্য়ে ভিড়তে দেওয়া হয়নি। বলতে গেলে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে সিবিআই দফতরকে। দফতরের সামনে চৌহদ্দিতে সমানে টহল দিয়ে চলেছেন সিবিআই-এর কর্মীরা।
বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই জেরায় অন্তত ১৫ জন সিবিআই অফিসার থাকছেন। যাদের মধ্যে মধ্য়মণি ফণিভূষণ করণ। মূলত তাঁর হাত ধরেই রাজীব কুমারের কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে আনার চেষ্টায় রয়েছে সিবিআই। সারদাকাণ্ডের তদন্তে এখন পর্যন্ত সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সেই জেরার বিষয়টি সীমবদ্ধ রেখেছিল সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশেও সেভাবে কোনও বিধিনিষেধ কোনওদিনই লাগু করা হয়নি। কিন্তু, রাজীব কুমারের জেরার বিষয়টি ঘটনা পরম্পরায় উত্তেজনার চরমে পৌঁছেছে। তাই এই ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমকে জেরার সময় দূরে রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করেছে সিবিআই। আর সেই কারণেই শিলঙে সংবাদমাধ্যমকে অনেকটা দূরেই সরিয়ে রাখা হয়েছে।
গতাকালই শিলঙে পৌঁছেছেন রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে শিলঙে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের আরও দুই অফিসার। এরা হলেন জাভেদ শামিম ও মুরলিধর শর্মা। শুক্রবার দুপুরে দমদম বিমানবন্দর থেকে শিলঙ যাওয়ার সরাসরি বিমান ধরেন রাজীব কুমার।
রাজীব কুমারকে সারদাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সামনে বসিয়ে জেরা করার কথা সিবিআই-এর। এই অভিযুক্তদের তালিকায় কুণাল ঘোষও আছেন। এছড়াও আরও চার অভিযুক্ত রয়েছেন যাদেরকে রাজীব কুমারের মুখোমুখি বসানো হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজীব কুমার মামলায় নির্দেশ দেওায়ার সময় বলেছিলেন শিলঙের ঠান্ডায় দু'পক্ষই ঠান্ডা থাকবেন। কিন্তু, এই জেরার আদৌ কুল-কুল হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, রাজীব কুমারকে জেরা করার সুযোগ পেতেই যেভাবে সিবিআই কোমর বেঁধে নেমছে তাতে এমনই বোধ হচ্ছে।