তিন বছরে অনুৎপাদক সম্পদের বৃদ্ধি ৩০০%! আগেই সরছেন এই ব্যাঙ্ক কর্তা
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের চিফ এগজিকিউটিভ হিসেবে শিখা শর্মার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবছরের ডিসেম্বরে। আর এই মেয়াদ শেষের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় এক দশকের একটি পদের ওপর পর্দা পড়ে যাবে।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের চিফ এগজিকিউটিভ হিসেবে শিখা শর্মার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবছরের ডিসেম্বরে। আর এই মেয়াদ শেষের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় এক দশকের একটি পদের ওপর পর্দা পড়ে যাবে।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে। শিখু শর্মা তাদেরকে অনুরোধ করেছেন তাঁর এই চতুর্থ টার্ম যেন ২০১৮-র ডিসেম্বরে শেষ করে দেওয়া হয়। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০২১ পর্যন্ত।
শেয়ার বাজারে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও বোর্ডকে জানিয়েছেন, ২০১৮-র ১ জুন থেকে ২০১৮-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও হিসেবে তাঁর পুনর্নিযুক্তি যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়।
চতুর্থ টার্মে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০২১ পর্যন্ত। আরবিআই ব্যাঙ্কের বোর্ডের প্রস্তাব খারিজ করার পরেই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথাটি উঠে আসে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও, অনুমান শর্মার সময়েই ব্যাড লোনের পরিমাণ বেড়েছে এবং নজরদারিতেও কিছুটা খামতি দেখা দিয়েছে।
পিজে নায়েকের হাত থেকে ২০০৯ সালে সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শিখা শর্মা। তাঁর নিয়োগের পরেই অবশ্য পিজে নায়েক বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করেছিলেন।
গত তিন বছরে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ। ২০০৯ সালের শেষে যেখানে ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১৭৩ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৭-র শেষে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০১ কোটি টাকায়।