তিনি মুখোশ পরে নয়, তিনিই আক্রান্ত হয়েছিলেন! অমিত শাহের নির্দেশে দিল্লি পুলিশের কাজ, জবাব ঐশীর
তিনি মুখোশ পরে ছিলেন না। বরং তিনিই আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমনটাই দাবি করলেন জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের।
তিনি মুখোশ পরে ছিলেন না। বরং তিনিই আক্রান্ত হয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমনটাই দাবি করলেন জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। তিনি বলেন, রক্তে ভেজা কাপড় এখন রয়েছে। এর আগে দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে মুখোশ পরা অবস্থায় কয়েকজনকে চিহ্নিত বলে দাবি করেন। তাঁদের মধ্যে ঐশীও রয়েছে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের।
৫ জানুয়ারি হামলা
গত রবিবার সন্ধেয় ৫০-৬০ বহিরাগত লোহার রড, লাঠি, হকি স্টিক নিয়ে জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় ৫ দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঐশী-সহ সন্দেহভাজনদের তালিকা
এদিন দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। যার মধ্যে থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না বলেই দাবি অনেকের। হামলার আগের ছবি দেখিয়ে দিল্লি পুলিশ ঐশী ছাড়াও সন্দেহভাজন হিসেবে আরও আটজনের নাম করেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন এবিভিপির ২ নেতা যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং বিকাশ প্যাটেলও।
প্রতিবাদ ঐশীর
ঐশী ঘোষ এদিন বলেন, আইনশৃঙ্খলার প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কেননা তাঁরা কোনও অবিচার করেননি। দিল্লি পুলিশ ফুটেজ প্রকাশ করলেই কাউকে এইভাবে সন্দেহভাজন করা যায় না। তাদের পক্ষের কেউই কোনও অন্যায় করেননি, দাবি করেন তিনি।
অমিত শাহের নির্দেশে কাজ দিল্লি পুলিশের
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ তাদের দুটি এফআইআর-এ ঐশীর নাম করেছে। পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী, ঐশী-সহ অন্যরা হস্টেলে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি মুখোশ পরে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে বাধা তৈরি করেছে। অন্যদিকে ঐশী ঘোষের দাবি, তাঁদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। তাঁর অভিযোগ অমিত শাহের নির্দেশে কাজ করছে দিল্লি পুলিশ।