মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ভালোবাসতেন, তার প্রতিদান পেলেন, রিয়ার গ্রেফতারের পর মন্তব্য আইনজীবীর
রিযার গ্রেফতারের পর মন্তব্য আইনজীবীর
জল্পনা অনেকদিন ধরেই চলছিল, অবশেষে তা সত্যিতে পরিণত হল। ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর পর এবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর গ্রেফতারের পর অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, রিয়া চক্রবর্তী যেহেতু একজন মানসিক অসুস্থ, যিনি মাদকাসক্ত ছিলেন, তাঁকে ভাসোবাসতেন, তাই তাঁকে তিনটে তদন্তকারী সংস্থা এবাবে জ্বালাতন করছে। রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিক ও অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যর সঙ্গে মাদক যোগ পাওয়ার জন্য।
মানসিক অসুস্থ রোগীকে ভালোবাসতেন
আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে বলেন, ‘এটি ন্যায় বিচারের সম্পূর্ণ হাস্যকর পরিস্থিতি।' তিনি আরও বলেন, ‘তিনটে তদন্তকারী সংস্থা মিলে একা মহিলাকে জ্বালিয়েছে, শুধুমাত্র এই কারণে যে তিনি একজন মাদকাসক্ত ও মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে ভালোবাসতেন।' প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে।
সুশান্তের চিকিৎসা করছিলেন পাঁচজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
মানেশিন্ডে দাবি করেন যে সুশান্তের চিকিৎসা করছিলেন শহরের খ্যাতনামা পাঁচজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তিনি বলেন, ‘বেআইনি ও নিষিদ্ধ ওষুধ ও মাদক খাওয়ার ফলে সুশান্ত তাঁর জীবন শেষ করে দিতে বাধ্য হন।' আইনজীবী এও জানান যে রিয়া চক্রবর্তী সবচেয়ে খারাপ ফলাফলের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।
সিবিআই ও ইডির প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে রিয়াকে
রিয়া চক্রবর্তীকে (২৮) এনডিপিএস ও সাইকোট্রপিক সাবস্টেনস আইনের অন্তর্গত ৮ (সি), ২০ (বি)(২) ও অন্যান্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁকে বিচারকের কাছে পেশ করা হবে। মাদক মামলার পাশাপাশি রিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়ে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পড়তে হবে ও ইডির অর্থ তছরূপ মামলাতেও নাম রয়েছে রিয়ার।
ফোনের চ্যাট থেকে প্রমাণিত
এনসিবি রিয়ার মোবাইল ফোনের চ্যাট ঘেঁটে খুঁজে পায় যে রিয়াও মাদক সেবন করতেন। এরপরই এনসিবি তাঁকে গ্রেফতার করতে দেরি করে না। যদিও রিয়া আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি মাদক সেবন করেন না।
আমার সঙ্গে মাদক যোগ পেলে আমি মুম্বই ছেড়ে দেব, টুইটে মুম্বই পুলিশকে চ্যালেঞ্জ কঙ্গনার