নিজেকে সঞ্জয় গান্ধীর মেয়ে বলে দাবি, কেন 'ইন্দু সরকার' ছবি ব্লক করার কথা বলছেন এই মহিলা
৪৮ বছর বয়সী প্রিয়া সিং পলের দাবি তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি, তথা সঞ্জয় গান্ধীর গুপ্ত সন্তান। আর তাঁর এই দাবি নিয়ে তিনি আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন।
৪৮ বছর বয়সী প্রিয়া সিং পলের দাবি তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাতনি, তথা সঞ্জয় গান্ধীর গুপ্ত সন্তান। আর তাঁর এই দাবি নিয়ে তোলপাড় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। মূলত, নিজের কথা জানিয়ে, দিল্লি কোর্টের কাছে তাঁর আবেদন যাতে মধুর ভান্ডারকরের 'ইন্দু সরকার' ছবিটিকে ব্লক করা হয়।
প্রিয়ার বক্তব্য, তিনি গান্ধী পরিবারের সদস্য। সঞ্জয় গান্ধী, তাঁর 'সম্পর্কে' বাবা হন। যিনি ১৯৮০ সালে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। প্রিয়ার দাবি ,তাঁর জন্মের পর তাঁকে দত্তক নেওয়া হয়। পরে, তিনি পরিণত বয়সে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর আসল পরিচয়। তাঁর বার্থ সার্টিফিকেট ও দত্তক নেওয়ার কাগজপত্র নিয়ে প্রিয়া দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়ছেন বলে দাবি করেছেন নিজেই। আর সেকথা এবার প্রিয়া জনসমক্ষে আনতে চান। সঞ্জয় গান্ধি সম্পর্কিত বিষয়টিকে জনসমক্ষে আনার ব্যাপারে প্রিয়া বলেন, মধুর ভান্ডারকরের 'ইন্দু সরকার' ছবির ট্রেলার দেখেই তিনি এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
উল্লেখ্য, মধুর ভান্ডারকরের 'ইন্দু সরকার ' ছবিটি ১৯৭৫ সালের 'জরুরী অবস্থার' সময়কে তুলে ধরেছে। যে সময় ক্ষমতায় ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা সঞ্জয় গান্ধীর মা ইন্দিরা গান্ধী । এ প্রসঙ্গে প্রিয়ার বক্তব্য,' ছবিটি ৭০ শতাংশ গল্প আর ৩০ শতাংশ বাস্তব তথ্য সম্মিলিত ছবি। কেউ যদি আমার বাবা আর ঠাকুমার দিকে আঙুল তোলেন , তাহলে আমি চুপ থাকতে পারব না।' প্রসঙ্গত, সঞ্জয় গান্ধীর স্ত্রী মানেকা ও ছেলে বরুণ গান্ধী দুজনেই বর্তমানে বিজেপির সদস্য। তাঁরা যদিও এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছু মুখ খোলেননি।
এদিকে, প্রিয়া সিং পলের দাবি, তাঁর মা গোপনে বিয়ে করেন সঞ্জয় গান্ধীকে। বিয়ের সময়ে তাঁর মা নাবালিকা ছিলেন বলে, সে কথা কাউকে জানানো হয়নি। পরে প্রিয়ার জন্ম হলে, তাঁকে দত্তক সন্তান হিসাবে দিয়ে দেওয়া হয়। প্রিয়াকে দত্তক নেওয়ার পর, তাঁর সৎ বাবা ও মা , প্রিয়ার জন্ম বৃত্তান্ত সম্পর্কে জানতে গিয়ে এই তথ্য খুঁজে বের করেন বলেও দাবি প্রিয়ার। পাশপাশি প্রিয়ার আইনজীবীর দাবি, তাঁরা বিষয়টিকে প্রমাণের জন্য DNA পরীক্ষার অনুরোধ জানিয়েছেন আইনি পন্থায়।