বিজেপির ঘরশত্রু বিভীষণ! ২০১৯-এ বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে মিলল ‘তারকা’ প্রার্থী
আসন্ন মহাযুদ্ধে বিজেপির মহাতারকা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তারকা প্রার্থী পেয়ে গেল বিরোধীরা। দল ছেড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন আর এক মহাতারকা।
আসন্ন মহাযুদ্ধে বিজেপির মহাতারকা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তারকা প্রার্থী পেয়ে গেল বিরোধীরা। দল ছেড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন আর এক মহাতারকা। বারণসীতে মহারণে অপেক্ষা সম্মুখ সমরে দুই যুযুধান। জল্পনা শুরু হয়েছে, বিজেপি ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা।
তিনি বর্তমানে বিজেপিরই সাংসদ। কিন্তু বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির কঠোর সমালোচক রূপে নিজেকে তুলে ধরেছেন। বিভীষণ যেভাবে রাবণ-রাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, শত্রুঘ্ন সিনহাও একইভাবে মোদী-শাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি গর্জে উঠেছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে।
এক জনপ্রিয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী তাঁর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ভোট লড়াই করার সম্ভাবনা প্রবল। তাঁর দল ছাড়ার সম্ভাবনাও প্রবল বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদন সামনে আসার পর জল্পনার পারদ চড়ছে হু-হু করে। বারাণসীর মহারণ নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে এখন থেকেই।
শত্রঘ্ন সিনহা একটা সময়ে জানিয়েই দিয়েছিলেন তিনি এবার আর বিজেপির টিকিটে লড়বেন না। তিনি আরজেডি বা কংগ্রেসের হয়ে বিহারের কোনও আসন থেকে লড়তে পারেন। তবে এক্ষেত্রে উঠে এসেছে অন্য একটি দল থেকে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা। আর সেই দল হল সমাজবাদী পার্টি। বারণসীর ক্ষত্রিয় মহলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি লড়তে পারেন এই দলের হয়েই।
সম্প্রতি মোদী-রাজ্য গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশের কর্মীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষোভে এলাকার সাংসদ মোদীর বিরুদ্ধে ফুঁসছে বারাণসী। সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি। সমাজবাদী পার্টি মোদী বিরোধী এই প্রবল হাওয়াকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিল এখন থেকেই। এখন থেকেই মোদী বিরোধিতায় এক নতুন মুখ আনার কথা প্রকাশ করে দিল।
আর এই সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে লখনউয়ের এক অনুষ্ঠানে সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ও শত্রুঘ্ন সিনহাকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায়। সম্প্রতি রাফালে নিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। রাহুলের সুরে সুর মিলিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দেগেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন কেন রিলায়েন্স, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল নয় কেন?