
ফের নতুন ছন্দে রাজনীতিতে ফিরছেন শশীকলা? জয়ললিতার ছায়া সঙ্গীকে ঘিরে শুরু জোরদার জল্পনা
জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন থেকেই। অবশেষে এবার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিতে দেখা গেল তামিল রাজনীতির অন্যতম প্রধান মুখ তথা একদা জয়ললিতার ছায়া সঙ্গী শশীকলাকে। সহজ কথায় ফের একবার রাজনীতির ময়দানে ফিরতে চলেছেন শশীকলা। এদিকে শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শশীকলার এআইডিএমকে-তে প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিস্তর চাপানৌতর শোনা যায়। করোনা মুক্তির পর হাসপাতাল থেকেও বাড়ি ফিরেছিলেন দলীয় পতাকা লাগানো গাড়িতেই।

একনজরে শশীকলার ওঠা-পড়া
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী জয়ললিতার। মৃত্যু পর্যন্ত 'আম্মা'র ছায়াসঙ্গী ছিলেন শশীকলা। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরেই এআইএডিএমকেতে বড়সড় চিড় ধরে যায়। একপক্ষ শশীকলাকেই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেন। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, এআইএডিএমকের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শশীকলা। কিন্তু বিরুদ্ধে ওঠে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। বহিস্কৃতও হন দল থেকে।

দুর্নীতির অভিযোগ
সাম্প্রতিক ইতিহাস দেখলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ ওঠে শশীকলার বিরুদ্ধে। যার জেরে জেলে যেতে হয় এই দুঁদে রাজনীতিবিদকে। যদিও গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে একদা তারই সহযোদ্ধা ই পালানিস্বামীর হাত ছিল বলে মনে করেন অনেকে। যদিও শশীকলা পরবর্তী সময়ে তিনিই হন এআইডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে চার বছর সাজা কাটানোর পর গত ২৭ জানুয়ারি জেল থেকে মুক্তি পান তামিল রাজনীতির 'রাজমাতা' তথা 'গার্ডিয়ান গডেস'।

কী বলছেন শশীকলা
যদিও কারা মুক্তির পরেও এআইডিএমকে-তে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বিশেষ কিছু শোনা যায় না। খানিক চাপানৌতর ললেও তাতেও জল পড়ে অচিরেই। এমতাবস্থায় এবার নতুন ফর্মেই মাঠে নামতে চলেছেন শশীকলা। এমনকী এদিন তিনি বলেন, "শীঘ্রই আসছি। পার্টিকে নতুন দিশা দেখানোর খুবই প্রয়োজন রয়েছে। দলের এই পতন আমি আর সহ্য করতে পারছি না। সবাইকে নিয়ে চলাই হল পার্টিন মূল শৈলী। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।

ইঙ্গিত মিলছিল কয়েকদিন আগে থেকেই
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এপ্রিলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কারণ হিসাবে দলেরই অভ্যন্তরীণ গোলযোগকে দোষ দেন। "অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের" কারণেই দল নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও তিনি দলের মধ্যে লড়াইয়ের নেপথ্য কারণ হিসাবে কারও নাম নেননি। তবে তার নিশানা যে শীর্ষ দুই নেতা পলানিস্বামী এবং ও পন্নীরসেলভামের দিকেই ছিল তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না।
Recommended Video
