
পরাজয়ের পোস্ট মর্টেমে বৈঠকের স্থান বদলে আজাদের বাড়িতে কংগ্রেসের বিদ্রোহীরা! শশী তারুরের যাওয়া নিয়ে জল্পনা
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) পর্যুদস্ত কংগ্রেস (Congress) । ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পাত্তা না পেয়ে এবার কংগ্রেসের বিদ্রোহীদের বৈঠক বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদের (ghulam nabi azad) বাড়িতে। এই বৈঠক কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন মন্ত্রী কপিল সিবালের (Kapil Sibal) বাড়িতে হওয়ার কথা থাকলেও, তা পরিবর্তিত হয়।
|
বৈঠকে যাঁরা ছিলেন
এদিন গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠক এবং নৈশ ভোজে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা হলেন, ভূপিন্দর সিং হুড়া, কপিল সিবাল, মণীশ তিওয়ারি, আনন্দন শর্মা, অখিলেশ প্রসাদ সিং, পৃথ্বীরাজ চৌহান, মনিশঙ্কর আইয়ার, শঙ্কর সিং বাঘেলা, প্রণীত কৌর, পিজে কুরিয়েন, সন্দীপ দীক্ষিত, রাজ বব্বর এবং শশী তারুর।

বৈঠকের স্থান বদল
তবে এর আগে ভোটের ফলাফলের দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ দেখা গিয়েছিল গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিনের বৈঠক প্রথমে হওয়ার কথা ছিল কপিল সিবালের বাড়িতে। কিন্তু বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করা হয়। কেননা কপিল সিবাল এই মুহূর্তে যেভাবে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করছেন, তাতে বেশ কয়েকজন নেতা বিক্ষুব্ধ হলেও অস্বস্তিতে ছিলেন। কেননা সোমবার কপিল সিবাল বলেছিলেন সময় এসেছে, এবার কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে গান্ধীদের সরে যাওয়া উচিত। দায়িত্ব দেওয়া উচিত অন্য কাউকে। ঘর কি কংগ্রেস নয় সব কি কংগ্রেসের দাবি তুলেছিলেন তিনি।
|
অবস্থান বদল দুই নেতার
তিরুবন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর, যিনি গান্ধী পরিবারের অনুগত বলে পরিচিত, তাঁকে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখে অনেকেই বিষ্মিত হয়েছে। ঠিক তেমনই মনিশঙ্কর আইয়ার। যাঁকে জীবনভর গান্ধী পরিবারের অনুগত থাকতেই দেখা গিয়েছে।

সভাপতি পদে নির্বাচনের দাবি
ফেব্রুয়ারি ও মার্চ জুড়ে হওয়া ৫ রাজ্যের নির্বাচনে পঞ্জাবে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া উত্তরাখণ্ড, মনিপুর, গোয়া এবং উত্তর প্রদেশে আরও ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে তারা। কংগ্রেসের এই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী একেবার খোলনলচে কংগ্রেসের পরিবর্তন দাবি করেছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি তাঁরা দলের সভাপতির পদে নির্বাচনও দাবি করেছেন। একই দাবি আগে তুললেও পাঁচ রাজ্যে দল পর্যুদস্ত হওয়ার পরে সেই দাবি আবারও তুলেছেন তাঁরা।

কংগ্রেসে ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা
এই সপ্তাহের শুরুতে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। সেই বৈঠকে কংগ্রেসের পরাজয়ের কারণ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের একদিন পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী সম্প্রতি পর্যুদস্ত হওয়া পাঁচ রাজ্যের দলীয় সভাপতিদের পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এবারে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপের কাছে হারিয়েছে পঞ্জাব। অন্যদিকে গোয়া এবং উত্তরখণ্ডে তাদের ফেরা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। উত্তর প্রদেশে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর প্রচারেও কংগ্রেস লাভবান হতে পারেনি।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পূর্ব জাপান, বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন! সুনামি নিয়ে সতর্কতা জারি প্রশাসনের