
মহিলা সাংসদদের নিয়ে পোস্ট করে সমালোচনার সামনে শশী, পাশে দাঁড়ালেন TMC'র মহুয়া
শুধুই রাজনীতি নয়, কূটনীতি থেকে শুরু করে বিশ্বসাহিত্য, একাধিক বিষয়ে অবাধ বিচরণ তাঁর। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বরাবরই দেশের অন্যতম প্রাজ্ঞ, জ্ঞানী জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত। সেই শশী থারুরই কিনা এবার নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়লেন।

সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর এদিনই ছ'জন মহিলা সাংসদের সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেন শশী। পশ্চিমবঙ্গের দুই সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, বারামতির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে, পাটিয়ালা সাংসদ প্রীনীত কৌর, দক্ষিণ চেন্নাই সাংসদ থামিঝাঝি থাঙ্গাপন্দিয়ান এবং কারুরের সাংসদ জোথিমানির সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে বিতর্কের সূত্রপাত শশীর ক্যাপশন৷ ছবিটি পোস্ট করার সময় ক্যাপশনে কংগ্রেস সাংসদ লেখেন, 'কে বলেছে কর্মক্ষেত্র হিসেবে লোকসভা আকর্ষণীয় নয়?'
শশীর এই ক্যাপশনেই রেগে আগুন হন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই মন্তব্যের মাধ্যমে মহিলাদের অব্জেক্টিফাই করেছেন কংগ্রেস সাংসদ৷ লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগও তোলেন অনেকে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাও মন্তব্য করেন পোস্টটিতে। তিনি লেখেন, 'আপনি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলছেন মহিলাদের। এভাবেই রাজনীতিতে তাঁদের অবদানকে খাটো করছেন। সংসদের মহিলাদের অবজেক্টিফাই করা বন্ধ করুন৷' ট্রুথ সিকার নামক এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী আবার লেখেন, ' আকর্ষণীয়? অন্য যে কোনও সেক্টরে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলে আপনাকে বরখাস্ত করা হত।'
The whole selfie thing was done (at the women MPs' initiative) in great good humour & it was they who asked me to tweet it in the same spirit. I am sorry some people are offended but i was happy to be roped in to this show of workplace camaraderie. That's all this is. https://t.co/MfpcilPmSB
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) November 29, 2021
একইভাবে অনেকে আবার শশীর পাশেও দাঁড়িয়েছেন। ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় জ্বালা গুট্টা লেখেন, ' সবকিছুকে আতসকাঁচের তলায় না ফেকে কিছু বিষয়কে মজার ছলে দেখা উচিত। সংসদের মহিলাদের নিয়ে বদ্ধমূল ধারণা গড়ে ওঠে, তাদের জন্য এটা প্রশংসা।' তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র আবার লেখেন, 'সংসদে কৃষি বিল প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হতে দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই এসব ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে।'
গোটা বিষয়ে টনক নড়ে শশীরও। তিনি লেখেন, ' অত্যন্ত খোশমেজাজেই সেলফিটি পোস্ট করা হয়েছিল। মহিলা সাংসদরা এভাবেই এটিকে পোস্ট করতে বলেছিলেন৷ যদি এতে কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে দুঃখিত।'
যদিও এই ইস্যুতেও শশীর পাশে দাঁড়ালেন মহুয়া মৈত্র। এই বিতর্ক শুরু হওয়ার পরই তিনি টুইটারে লেখেন, 'আশ্চর্য নই যে একগুচ্ছ কুৎসিত ট্রল শশীথারুরকে একটি অ-ইস্যুতে আক্রমণ করছে এই অ-আকর্ষণীয় সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে সবার মনোযোগ সরানোর জন্য। কৃষি আইন বাতিলের বিষয়ে আলোচনার অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি থেকেই নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।'