শশী থারুর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে মল্লিকার্জুনের প্রতিদ্বন্দ্বী, নেপথ্যে কে? জল্পনা
শশী থারুর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের লড়াইয়ে মল্লিকার্জুনের প্রতিদ্বন্দ্বী, নেপথ্যে কে? জল্পনা
শশী থারুর এবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি মুখোমুখি হচ্ছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের। ২২ বছর পর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে এবার তিন প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তার মধ্যে লড়াই এবার দাঁড়িয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়গে বনাম শশী থারুরের।
শশী থারুরের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের নেপথ্যে
এখন প্রশ্ন উঠেছে সরাসরি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কোনও ঘোষণা না করলেও কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে। শশী থারুর তাঁর চ্যালেঞ্জার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে কংগ্রেসের নির্বাচনী লড়াই। তৃতীয় এক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, সেই কে এন ত্রিপাঠীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, কে রয়েছেন শশী থারুরের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের নেপথ্যে।
যাঁরা পরিবর্তন চাইছেন বা চাইবেন তাঁরা শশীর পাশে
শশী থারুর দাবি করেছেন, তাঁর মনোনয়নে খুশি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। এবং তিনি মনে করছেন, তিনি এই নির্বাচনে লড়াই দিতে পারবেন। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা খাড়গে সাহেবের সঙ্গে থাকলেও শশী থারুর দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দলের কর্মীরা। যাঁরা পরিবর্তন চাইছেন বা চাইবেন তাঁরাও আমার সঙ্গে থাকবেন।
কেন দলে নির্বাচন প্রয়োজন, লিখেছিলেন থারুর
তিনি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত করেছেন তাঁর এই মন্তব্যে। তবে একটা প্রশ্ন বারবারই উঠছে, কে রাজি করালেন শশী থারুরকে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে। কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচনে খাড়গে বনাম থারুর হওয়ার নেপথ্যে কে? শশী থারুর দাবি করেছিলেন কংগ্রেসের ভিতরে গণতন্ত্র রয়েছে, তা অন্য কোনও দলের মধ্যে নেই। তারপর বলেন, তবু আমি একটা নিবন্ধে লিখেছিলাম কেন দলে নির্বাচন প্রয়োজন।
মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন শশী
শশী থারুর বলেন, আমার আমার দলের অনেক নেতা-কর্মী যোগাযোগ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছিলেন। কিন্তু নিজের রাজ্য কেরল থেকেই তাঁর নাম প্রস্তাব করা হয়নি। কেরল রাহুল গান্ধীকে সভাপতি চেয়ে প্রস্তাব পাস করেছিল। যদিও রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্বিা তা করছেন না। এই অবস্থায় কেরলের প্রস্তাব দূরে সরিয়ে থারুর মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন।
থারুরের এই প্রচার সফরের ব্যবস্থা করেছে মহারাষ্ট্র প্রদেশ সভাপতি
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শশী থারুর প্রথমে দীক্ষাভূমিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানে বি আর আম্বেদকর ১৯৫৬ সালে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। শশী থারুরের এই প্রচার সফরের ব্যবস্থা করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি অনিল দেশমুখ। ফলে এ কথা স্পষ্ট যে মহারাষ্ট্র শশী থারুরের পাশে থাকবে।
১২টি রাজ্যের কংগ্রেস প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে শশী থারুরের সমর্থন
শশী থারুর এরপর ওয়ার্ধায় মহাত্মা গান্ধীর সেবাগ্রাম আশ্রম পরিদর্শন করবেন। পরে পওয়ানারে বিনোবা ভাবের আশ্রমে যাবেন। তারপর নাগপুরে ফিরে এসে দলের রাজ্য ইউনিটের সদস্য ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১২টি রাজ্যের কংগ্রেস প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে শশী থারুরকে সমর্থন করছেন বলে দাবি দেশমুখের। দলের নেতা ও কর্মীদের প্রভূত সমর্থন তিনি পাচ্ছেন।
কংগ্রেস সভাপতির হটসিটে লড়াই খাড়গে বনাম থারুরের, ত্রিপাঠীর মনোনয়ন বাতিল