সভাপতি পদে নির্বাচনেও রিগিং! শশী থারুরের অভিযোগে বিতর্কে কংগ্রেস
সভাপতি পদে নির্বাচনেও রিগিং! শশী থারুরের অভিযোগে বিতর্কে কংগ্রেস
দীর্ঘ নির্বাচনে বড় ধাক্কা শশী থারুরের। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে হার মানলেন আরও এক কংগ্রেস নেতার। দীর্ঘ ২৪ বছর পর কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচন ঘটল। আর ঐতিহাসিক এই নির্বাচনে কংগ্রেসের ব্যাটন গেল সোনিয়া অনুগত মল্লিকার্জুন খার্গের কাঁধে। কার্যত নয়া যুগ কংগ্রেসে। তবে সভাপতি পদে নির্বাচন চলাকালীন অনিয়মের অভিযোগ শশী থারুরের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
সভাপতি পদেও রিগিং
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন চলাকালীন রিগিং করা হয়েছে বলে দাবি শশী থারুরের। আর এই মর্মে দলের প্রধান নির্বাচনী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন থারুর। শুধু তাই নয়, সে রাজ্যে পড়া সমস্ত ভোট বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পাঞ্জাব এবং তেলেঙ্গানাতে নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। শশী থারুরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সালমান সোজ ইতিমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী মণ্ডলীর চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রির কাছে চিঠি দিয়েছেন। এমনকি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেখানে। এমনকি বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শশী থারুরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সালমান সোজ স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সমস্ত কিছু লোপাঠ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে কংগ্রেসের তরফে কিছু বলা হয়নি। তবে দীর্ঘ ভোটে মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে হারতে হল শশী থারুরকে।
দায়িত্ব পেলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই দশক ধরে কংগ্রেসের সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন গান্ধীরা। নব্ব্ইয়ের দশকে সীতারাম কেশরীর পর প্রথমে সোনিয়া গান্ধী তারপর রাহুল গান্ধী এই পদে ছিলেন। ২০১৯-এর পর তিন বছর অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোনিয়া গান্ধী। তারপর অ-গান্ধী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি শশী থারুরকে নির্বাচনে পরাজিত করে নতুন সভাপতি হলেন।
তার সামনে কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ
বলে রাখা প্রয়োজন, এই নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খাড়গে ৯৩৮৫ ভোটের মধ্যে ৭৮৯৭টি ভোট পান। আর শশী থারুর পান মাত্র ১০৭২টি ভোট। ৬৮২৫ ভোটে থারুরকে পরাজিত করে কংগ্রেস সভাপতির গৌরবোজ্জ্বল আসন ছিনিয়ে নেন খাড়গে। তবে তার সামনে কার্যত বড় চ্যালেঞ্জ। লোকসভা নির্বাচন সামনেই। ইতিমধ্যে গোটা দেশেই কংগ্রেসে অবস্থা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। ক্রমশ ভাঙছে দল। প্রত্যেক রাজ্যেই কংগ্রেস নেতা কর্মীএ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের আগে দলকে দিশা দেখানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে। তবে সামনেই গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন। ফলে প্রেস্টিজিয়াস ফাইটে নয়া সভাপতি কি করতে পারেন সেদিকেই নজর সবার।
জয় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন! সোনিয়া অনুগত খার্গের এই রেকর্ডের বিষয়ে জানেন?