ফের বড় পতন শেয়ার বাজারে, লেনদেন শুরু হতেই পড়ল ২২৫০ পয়েন্ট! আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা
ফের বড় পতন শেয়ার বাজারে। বৃহস্পতিবার বাজারে লেনদেন শুরু হতেই ১৮০০ পয়েন্ট পতন বয় সেনসেক্সে। সূচকের পতনের জেরে নিফটি চলে যায় ১০ হাজারের নিচে। নিফটি পড়ে ৪৭০ পয়েন্ট। নিফটি গিয়ে দাঁড়ায় ৯৯৮৮.০৫-এ। ১৮২১ পয়েন্ট পতনের জেরে সেনসেক্স দাঁড়ায় ৩৩৮৭৬.১৩ পয়েন্টে। এরপর যত লেনদেন এগোয় তত পড়তে থাকে সূচক। সকাল ১১টা নাগাদ সূচক পড়ে যায় ২২৫০ পয়েন্ট।
পতন জারি শেয়ার বাজারে
এর আগে হোলির আগের দিনও বড় পতন দেখেছিল শেয়ার বাজার। করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা। এরই মাঝে আজ রীতিমত ধস নামার ভঙ্গিতে সেনসেক্স পতন দেখা যায়। সেদিন শেষ পর্যন্ত ১৯০০-র কিছু পয়েন্ট পতনে বন্ধ হয় শেয়ার বাজারের লেনদেন। তবে একটা সময় ২৪০০ পয়েন্ট পড়ে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। এই আবহেই কিন্তু বিশ্বের মত ভারতেও হুহু করে বেড়েছে সোনার দাম।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব বাজারেও মন্দা জারি
করোনা ভাইরাসে প্রভাবে বিশ্ব বাজারেও মন্দা জারি রয়েছে। ইউরোপীয় এবং মার্কিন স্টক মার্কেটগুলিতে পরপর সূচকে হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল গত সপ্তাহের শেষ লগ্নে। বিশেষজ্ঞদের মত, চিনের বাইরে করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর আসতেই এই পতন শুরু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ে আমেরিকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পর। এরই মাঝে ইউরোপে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। যার জেরে ইউরোপীয় দেশগুলির অর্থনীতি ও বাণিজ্যে বিশাল বড় ধাক্কা লেগেছে। প্রভাব পড়ছে আমেরিকার অর্থনীতিতেও।
কী কারণে পড়ছে শেয়ার বাজার?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়েস ব্যাঙ্ক ও করোনা ভাইরাসের জেরেই ধাক্কা খেয়ে চলেছে শেয়ার বাজার। এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা। যার জেরে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ভরসা হারাতে শুরু করে। এরপর থেকে শুক্রবার থেকেই বড় পতন শুরু হয় বাজারে। শুক্রবার বাজার খুলতেই ১৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সূচক। ইয়েস ব্যাঙ্কের বাজার দরে ধসের পাশাপাশি এসবিআই, ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্কেও ১০ শতাংশ করে পতন লক্ষ্য করা যায়।
ঝুঁকির মুখে এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের অর্থনীতি
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের অর্থনীতি রীতিমতো ঝুঁকির মুখে পড়েছে করোনা ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ায়৷ পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি এই ভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিনের আমদানি রফতানিও। এর জেরে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিস্তর। যদি আগামী কয়েক সপ্তাহে চিনের উহান শহরে এই মহামারী তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের৷