রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার, সেনসেক্স-নিফটির বিরাট লাফ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার, সেনসেক্স-নিফটির বিরাট লাফ
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হতেই ধাক্কা নেমে এসেছিল শেয়ার বাজারে। তবে একদিনের মধ্যেই সেই ধাক্কা সামলে শেয়ার সূচক বাড়তে শুরু করল। শুক্রবার ফের সেনসেক্স ও নিফটি হল ঊর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার যে সব শেয়ারে রেকর্ড পতন হয়েছিল, শুক্রবার সেইসব শেয়ার ফের উঠতে শুরু করল। এদিন সকালে বাজার খুলতেই বাড়তে শুরু করল শেয়ার-সূচক।
শুক্রবার বাজার খোলার পরই শেয়ার সূচক ১৩০০ পয়েন্ট বেড়ে যা যায়। তা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। দুপুর ১২টার মধ্যেই সেনসেক্ট ১৬০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। নিফটিও হয় ঊর্ধ্বমুখী। এদিন একধাক্কায় সাড়ে তিনশো পয়েন্ট বেড়ে যায় নিফটি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর একদিন পরেই সেনসেক্স-নিফটির উত্থানে আশার আলো দেখছে স্টক হোল্ডাররা। স্বস্তি ফিরেছে মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিটে।
এদিন সকালে সেনসেক্স একধাক্কায় বেড়ে ৫৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। নিফটিও ১৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টে উঠে য়ায়। প্রায় সমস্ত সেক্টেরের শেয়ারই এদিন সকালে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সেনসেক্স সকালে বাড়ে প্রায় ৪ শতাংশ। আড়াই শতাংশ বাড়ে নিফটি। যা ভারতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখবর। শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেয়ার বাজারের পুনরুত্থান প্রত্যাশাই ছিল, যুদ্ধের পরদিনই তা হওয়ায় লগ্নিকারীরা আশঙ্কামুক্ত হলেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় স্টক হোল্ডার তথা লগ্নিকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক সেই আশঙ্কা দূরীভূত হল প্রত্যাশিতভাবেই, বলছেন শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞরা। অনিশ্চয়তা আজ অনেকটাই কেটে গিয়েছে। তবে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির উপর যে শেয়ার মার্কেটের উত্থান অনেকটাই নির্ভর করবে, তা বলাই যায়।
স্বভাবতই একদিনের মধ্যে শেয়ার মার্কেটের উত্থান হওয়ায়, মুম্বইয়ের দালাল স্ট্রিট উৎফুল্ল। কিন্তু একই সঙ্গে চিন্তাতেও। যুদ্ধে গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে যে কোনও মূহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে শেয়ারসূচকে। শেয়ার মার্কেটে উত্থান-পতন বাড়বে যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর। আপাতত শেয়ার মার্কেটের এই উত্থানে স্বস্তি স্টক হোল্ডারদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতের শেয়ার বাজার বৃহস্পতিবার ঘোরতর ধাক্কা খেয়েছিল। গতকাল স্টক মার্কেট প্রায় ২৮০০ পয়েন্ট পড়ে বন্ধ হয়েছিল। নিফটিও পড়েছিল ৮৪২ পয়েন্ট। কিন্তু শুক্রবার তা ঊর্ধ্বমুখী হয়েই খুলেছে। বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ভারতের শেয়ার বাজার যেমন তার ফলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ঘুরে দাঁড়িয়েছে এশিয়ার শেয়ার বাজার।
বিশ্ববাজারের পরিস্থিতির সূত্রেই শেয়ার সূচকে উত্থান দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে। দালাল স্ট্রিটের পাশাপাশি ওয়াল স্ট্রিটেও সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। তার প্রভাবে এশিয়ার শোর বাজারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।