৪৫ মিনিট বন্ধ শেয়ারবাজার, করোনার জেরে লেনদেন চালু হতেই ধস নামার ইঙ্গিত!
করোনা ভাইরাসের জেরে কোনও ভাবেই ভরসা রাখতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। শুক্রবার শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হতেই তাই ফের বড় পতন দেখা যায় সেনসেক্সে। এদিন এই সূচকের পতনের মধ্যেই ৪৫ মিনিট বন্ধ হয়ে যায় প্রথামিক লেনদেন। ৪৫ মিনিট পর ফের লেনদেন চালু হলে ফের সূচক পড়তে শুরু করে। বাজারে লেনদেন চালু হওয়ার এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই ৩০০০ পয়েন্ট পতন হয়ে সেনসেক্সে।
৭৫০ পয়েন্ট পতন নিফটিতেও
এদিকে সেনসেক্সের পাশাপাশি এদিন নিফটির পতনও হয় বড় অঙ্কের। শেয়ার বাজারে লেনদেন চালু হতেই ৭৫২.৯ পয়েন্ট পডড়ে যায় নিৎটি। এর জেরে ৯ হাজারেরও নিচে চলে যায় নিফটি। প্রথম ঘণ্টা শেষে নিফটি গিয়ে ঠেকে ৮৮৩০.৯ পয়েন্টে।
৩০০০ পয়েন্ট পতন সেনসেক্সে
এদিকে আজ লেনদেন শুরু হতেই সেনসেক্স পড়ে যায় ৩০৯১ পয়েন্ট। গতকাল শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ পয়েন্ট পতনের পর সেনসেক্স দাঁড়িয়েছিল ৩২,৭৭৮-এ। এর জেরে ১১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের। আজ সেই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙঅকা করা হচ্ছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারের সূচকেও বড় পতন
এমএসসিআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক শেয়ারের ব্রডকাস্ট ইন্ডেক্স অনুযায়ী জাপানের বাইরের দেশগুলিতে ২০১৯ সালের প্রথম দিকের থেকে খারাপ অবস্থায় চলে গেছে শেয়ার সূচক। জাপানের শেয়ারের সূচকে পতন হয়েছে ১০ শতাংশের। গতকালও এই পতন লক্ষ্য করা গিয়েছিল। গতকাল সূচক সর্বনিম্ন পর্যায় ৪.১ শতাংশ হ্রাস পায় বাজার এবং জাপানের নিকিকের শেয়ার ৫.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বেঞ্চমার্ক ৭.৪ শতাংশ নেমে যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পিআই ৪.৬ শতাংশ কমে গিয়ে সাড়ে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
কি মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা?
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের অর্থনীতি রীতিমতো ঝুঁকির মুখে পড়েছে করোনা ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়ায়৷ পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি এই ভাইরাসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিনের আমদানি রফতানিও। এর জেরে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিস্তর। যদি আগামী কয়েক সপ্তাহে চিনের উহান শহরে এই মহামারী তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তবে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধস নামবে বলে আশঙ্কা অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের৷