লকডাউনের প্রভাবে শাপ-লুডোর খেলায় পরিণত শেয়ারবাজার, পতন জারি
বুধবার শেয়ার বাজারে লেনদেন চালু হতেই ২৬,৪৩০.৯৯ পয়েন্টে নেমে যায় সেনসেক্স। আর এরই সঙ্গে শেয়ার বাজারের নিম্নগামী গ্রাফ জারি থাকল। এর আগে মঙ্গলবারও শেয়ারবারে পড়ে যায় সেনসেক্স। এর জেরে বাজারে লেনদেন বন্ধ হওয়ার সময় সেনসেক্স দাঁড়ায় ২৬,৬৭৪ পয়েন্টে।
সেনসেক্সের পাশাপাশি নিফটিও পড়ে
এদিকে সেনসেক্সের পতনের পাশাপাশি এদিনও পতন লক্ষ্য করা যায় নিফটিতে। ক্রমাগত পতনের জেরে বর্তমানে নিফটি এখন ৭৮০০ পয়েন্টের আসেপাসে ঘোরাফেরা করছে। আজকে শেয়ার বাজারে সব থেকে বড় পতন লক্ষ্য করা যায় ব্যাঙ্কিং সেক্টরের শেয়ারে। এছাড়া দাম পড়ে যায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজেরও।
সপ্তাহের প্রথম থেকেই পতনের ট্রেন্ড
সপ্তাহের শুরুতেই পতন জারি ছিল শেয়ার বাজারে। সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হতেই ফের বড় পতন লক্ষ্য করা যায় শেয়ার বাজারে। এদিন বাজারের লেনদেন চালু হতেই ২৬২৪.৬৯ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। এর জেরে দালাল স্ট্রিটের সূচক গিয়ে দাঁড়ায় ২৭২৯১.২৭-এ। নিফটিও নেমে যায় ৮০০০ পয়েন্টের নিচে।
মঙ্গলবার রেকর্ড পতন হয় শেয়ার বাজারে
এরপর মঙ্গলবার শেয়ারবাজার নেমে গিয়েছিল ২৫ হাজারের ঘরে। সেদিন সারা দিনে ৩৯৭২.২০ পয়েন্ট পড়ে গিয়ে বাজার যখন বন্ধ হয় তখন সেনসেক্স দাঁড়ায় ২৫,৯৪৩.৭৬। নিফটিতে লক্ষ্য করা যায় পতন। এর জেরে নিফটি মেনে যায় ৭,৯৪৫.৭০। অবশ্য সেখান থেকে বুধবার কিছুটা গ্রাফ উর্ধ্বগামী হলেও ফের বুধবার বাজার খুলতেই পতন শুরু হয় বাজারে।
করোনার জেরে প্রভাবিত বাণিজ্য
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দেশের বাণিজ্য অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছিল প্রথম থেকেই। ভারতে করোনা প্রকোপ বাড়তে সেই ধাক্কা খাওয়া বেড়ে গিয়েছে আরও কয়েক গুণ। ভারতে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৫০০ জনের বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তাছাড়া মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
ভরসা হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা
করোনা রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সরকার জানালেও তাতে মানুষের মনের আশঙ্কা দূর হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীরা এই আশঙ্কার জেরে ঘরে টাকা তুলতে শেয়ার বেচার দিকেই ঝুঁকছেন যার জেরেই এই পতন বলে বিশেষজ্ঞদের মত। ক্রমেই ভারত স্টেজ ২ থেকে স্টেজ ৩-এর দিকে এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। আর এর জেরে দেশের অর্থনীতি দিশেহারা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে।