বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী, বাড়ল সেনসেক্স-নিফটি
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী, বাড়ল সেনসেক্স-নিফটি
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই ঊর্ধ্বমুখী হল শেয়ার বাজার। এক লাফে সেনসেক্স ও নিফটি বাড়ল অনেকটাই। বৃহস্পতিবার বাজার খুলতেই সেনসেক্স বাড়ল ১২০০। নিফটি উঠল ১৬৫০০-র উপরে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে শেয়ার বাজারেও প্রভবা পড়েছিল। এদিন ভোটের ফল চাঙ্গা করে দিল শেয়ার বাজারকে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১২ শতাংশের বেশি কমে যাওয়ার পরেও শেয়ার বাজারের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের পাঁচ নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরই এদিন সেনসেক্স ১২০০ পয়েন্ট বাড়ল। এই বৃদ্ধি প্রায় ২.১০ শতাংশ। সেনসেক্স বেড়ে হল ৫৫৮৭৫। এবং নিফটি ৩১৫ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে হল ১৬৬৬০।
এদিন প্রায় প্রায় ১৮৬০টি শেয়ার অগ্রসর হয়েছে। সেই নিরিখে ১৮৫টি শেয়ার হ্রাস পেয়েছে এবং ৩৮টি শেয়ার অপরিবর্তিত রয়েছে। সেনসেক্সের সামনের সারিতে দৌড়ে রয়েছে এশিয়ান পেইন্টস, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এসবিআই, এইচইউএল, মারুতি, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। নিফটিতে টাটা মোটরস টপ গেনার ছিল।
বেঞ্চমার্ক সূচকে উত্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিস্তৃত বাজারগুলিও মুনাফা বাড়িয়েছে। বিএসই মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ সূচকগুলি ২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। মূল বেঞ্চমার্ক সূচকগুলি উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর এবং উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলগুলির উপর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে৷ বিনিয়োগকারীরা ফলাফলের দিকে নজর রাখছেন।
মেহতা ইক্যুইটিস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) প্রশান্ত তাপসে বলেন, যুদ্ধের আবহে দালাল স্ট্রিটে ভয়ের আবহ তৈরি হয়েছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফ প্রকাশের দিন শেয়ারবাজারের এই লাফ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছ। তেল এবং পণ্যের উচ্চ মূল্যের পটভূমিতে আরবিআই কীভাবে মোকাবিলা করে সেটাই দেখার।
প্রযুক্তিগতভাবে বলতে গেলে, নিফটি ১৫৭১১-র সূচককে যদি মান হিসেবে চিহিনতি করা হয় তবে, বর্তমান সময়ে তা ১৪২৫১-র নীচে নেমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে নিফটি ১৬৬০০-র উপরে উঠে যাওয়া তৎপর্যপূর্ণ। এখন ওই সূচক নিয়ে যদি বন্ধ হয় শেয়ার বাজার, তাতে প্রযুক্তিগত ল্যান্ডস্কেপ যথেষ্ট উন্নতি করবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডি-এস্কেলেশন নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হওয়ায় গত দুই সেশনে বাজারগুলি তীক্ষ্ণ লাভের মুখ দেখেছে।ইউক্রেনের নেতৃত্ব বলেছে যে তারা আর ন্যাটোর সদস্যভুক্ত হতে চায় না। অন্যদিকে রাশিয়া বলেছে যে তারা ইউক্রেনের সরকারকে বাদ দিতে চাইছে না। আজ দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এর ফলে যুদ্ধের আবহেও ভালো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।