'নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি কে দিয়েছিল?' করোনা আতঙ্কে বোমা ফাটালেন শরদ
করোনার প্রবল সংকটে গোটা দেশ বিপদের সম্মুখে। এই সময় বিভিন্ন দলের নেতৃত্বই রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে করোনা মোকাবিলায় দলীয় কর্মীদের মনোনিবেশ করতে বার্তা দিয়েছে। এদিকে,দেশ জুড়ে ক্রমেই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, ভারতে ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের ঘটনায় আরও বেড়েছে নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানের জেরে। আর এবার নিজামুদ্দিন প্রসঙ্গে মুখ খুলেই বোমা ফাটালেন শরদ পাওয়ার।

শরদ পাওয়ারের প্রশ্ন
শরদ পাওয়ার এদিন ফেসবুকে 'লাইভ' -এ এসে একাধিক বক্তব্য রাখেন। তখনই তিনি প্রশ্ন তোলেন যে , নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সভা কার অনুমতি পেয়েছিল? দিল্লির বুকে এতবড় একটা ঘটনা এভাবে ঘটে গেল, কার অনুমতি পেয়ে? এরপরই তিনি মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তোলেন। উঠে আসে আরও বেশ কিছু তথ্য।

মহারাষ্ট্রে কী ঘটেছিল?
এনসিপি নেতা তথা মারাঠি 'স্ট্রং ম্যান' শরদ পাওয়ারের বক্তব্য, এনসিপি-শিবসেনা-কংগ্রেস পরিচালিত মাহারাষ্ট্র সরকারের কাছে এমন ধর্মীয় সভার অনুমোদন চেয়ে বহু আর্জি এসেছিল। মুম্বই ও সোলাপুরে এমন ধর্মীয় জমায়েতের আর্জি এসেছিল মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে। তবে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল করে। আর সোলাপুরের অনুষ্ঠান সংগঠিত হতেই মারাঠি সরকার বড়সড় পুলিশি পদক্ষেপ নেয়। ফলে শরদের প্রশ্ন, দিল্লির ক্ষেত্রে তা কেন করা হয়নি?

শরদের শক্তিশেল!
শরদ পাওয়ার এদিন বার্তা দেন যে, ভারতে করোনা ছড়ানো নিয়ে বর্তমানে অযাচিতভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে দায়ী করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। তাঁর দাবি, এই দোষারোপের আগে দেখা উচিত কে তাঁদের এই ধর্মীয় সভা করতে অনুমতি দিয়েছিল? শরদের প্রশ্ন, 'মিডিয়াই বা কেন এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানকে হাইপ দিচ্ছে? '

নিজামুদ্দিন ও কোভিড ১৯
নিজামুদ্দিনের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দেশজুড়ে । যা দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৩০ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে আরও ২২ হাজার মানুষ এঁদের থেকে সংক্রমিত হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে দেশে।