২০১৯-এ মোদীর উত্তরসূরি কে, অবলীলায় সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সুদক্ষ রাজনীতিবিদ
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ার মনে করেন এবার আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না মোদী। তাহলে মোদীর বিকল্প কে? সে প্রশ্ন উঠে পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ার মনে করেন এবার আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না মোদী। তাহলে মোদীর বিকল্প কে? সে প্রশ্ন উঠে পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। মোদী যদি না হন, তাহলে কে বসবেন দিল্লির তখতে? দক্ষ রাজনীতিবিদ হিসেবে সে প্রশ্নের জবাবও দিলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার।
কেউ কি ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী হবেন মনমোহন
বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেন, আসন্ন লোকসভায় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তাই মোদী আর বসবেন না কুর্সিতে। কিন্তু কে হবেন তাঁর উত্তরসূরি, সেই প্রশ্নের জবাবে শারদ পাওয়ার বললেন, কেউ কি ভেবেছিলেন ২০০৪-এ প্রধানমন্ত্রী হবেন মনমোহন সিং। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দক্ষতার সঙ্গে ১০ বছর শাসনভার সামলেছেন।
পরিস্থিতি নেতা তৈরি করে
শারদ পাওয়ার মনে করেন, রাজনীতিতে কখনই শূন্যস্থান বলে কিছু হয় না। ঠিক একজনের বদলে একজন চলে আসেন। এটাই নিয়ম। তার কারণ পরিস্থিতি নেতা তৈরি করে। ঠিক যেভাবে ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর নেতা উঠে এসেছিলেন। কে বলতে পারে এবারও সেইরকম কেউ উঠে আসবে না।
রাহুল প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রী নন
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ২৪ ঘণ্টা আগেই জানিয়েছেন, কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করছে না। চিদম্বরমের সেই কথা টেনেই শারদ পাওয়ার বলেন, চিদম্বরম বাস্তব পরিস্থিতিই ব্যাখ্যা করেছেন। কংগ্রেস পার্টির বর্তমান অবস্থান বিচার করেই তিনি মত ব্যক্ত করেছেন। জানিয়েছেন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কী করণীয়।
কংগ্রেসের সঙ্গে সহমত
শারদ পাওয়ার বলেন, আমিও কংগ্রেসের সঙ্গে সহমত। কখনই কাউকে তুলে ধরা উচিত নয়, বা কারও উপর নিজের পছন্দ চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অন্য পার্টির উপর কেন আমাদের পছন্দ চাপিয়ে দেব। কংগ্রেস পরিবর্তন চায়। লড়াই যখন একসঙ্গে লড়তে হবে, তখন অন্য পার্টির উপর নিজেদের মত না চাপিয়ে দেওয়াই শ্রেয়।
প্রধানমন্ত্রী পদ নন-প্রজেক্টেড
চিদম্বরমের মতো শারদ পাওয়ারও মনে করেন, কোনও নেতাকেই ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না করাই ঠিক। তাহলে বিরোধী ঐক্য নড়বড়ে হতে পারে। তার থেকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে জেতাই লক্ষ্য করা উচিত। নির্বাচন জেতার পরই নেতা বেছে নেওয়া সহজ হবে। এবং সর্বজনগ্রাহ্য নেতা হবেন তিনি।
রাহুলের সঙ্গে কথা শারদের
শারদ পাওয়ার বলেন, এ বিষয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রাহুলের ভাবনার সঙ্গে চিদম্বরমের কথার মধ্যো বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। শারদ পাওয়ারও ২০১৯-এ মোদী বনাম রাহুল তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করে ভোটের লড়াই হবে, লোকসভার সেই লড়াই কখনই ব্যক্তিগত নয়।
ভোট-যুদ্ধ থেকে সন্ন্যাস পাওয়ারের
শারদ পাওয়ার ইতিমধ্যেই ভোট-যুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ, লোকসভার নন। ২০১৪ নির্বাচনেও তিনি লড়েননি। আসন্ন ২০১৯-এও তিনি নির্বাচন লড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি ২০১৪-র এপ্রিল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে চলেছেন।
[আরও পড়ুন:ছত্তিশগড়ে ৪০জন তারকাকে প্রচারে নামাচ্ছে বিজেপি, কারা রয়েছেন তালিকায়]
মহাজোট স্রেফ সময়ের অপেক্ষা
শারদ পাওয়ার মনে করেন মহাজোট হবেই। মোদী বিরোধিতায় কংগ্রেস থেকে শুরু করে ইউপিএ-র সমস্ত দল এবং অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিও ঐক্যমত্য। সেই কারণেই লোকসভার জন্য জোট গড়তে সবাই উৎসুক। বিধানসভায় জোট হল কি না, তা নিয়ে লোকসভার বিরোধী ঐক্যে কিছু এসে যায় না। আমি প্রায় সমস্ত দলের সঙ্গেই কথা বলেছি। লোকসভার আগে রাজ্যওয়াড়ি মহাজোট স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না মোদী! ২০১৯ লোকসভায় পরিবর্তনের বাদ্য বাজালেন বর্ষীয়ান নেতা]