প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না মোদী! ২০১৯ লোকসভায় পরিবর্তনের বাদ্য বাজালেন বর্ষীয়ান নেতা
পরিবর্তন আসছে ২০১৯-এ। দিল্লির তখতে আর নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার।
পরিবর্তন আসছে ২০১৯-এ। দিল্লির তখতে আর নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেন, আসন্ন লোকসভায় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। অনেকটা ২০০৪-এর মতো পরিস্থিতি হবে ২০১৯-এ।
জোট সমীকরণে ফারাক
শারদ পাওয়ার বলেন, আমি মনে করি না ২০১৯-এর নির্বাচন আর ২০১৮-র এই বিধানসভা নির্বাচনের জোট সমীকরণ একই থাকবে। বরং বিস্তর ফারাক ঘটবে জোটপন্থী রাজনীতিতে। মহারাষ্ট্রের বর্তমান সমীকরণ আর ২০১৯-এর সমীকরণেও আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকবে বলে তাঁর বিশ্বাস। আর সেটাই হবে, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের এমনই মত।
২০০৪-এর পুনাবৃত্তি
শারদ পাওয়ার মনে করেন, সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ২০০৪-এর অনেক মিল রয়েছে। তখনও ক্ষমতায় ছিল বিজেপি তথা এনডিএ সরকার। অটলবিহারী বাজপেয়ী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবর্তন হয়েছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী। এবারও তেমনটা ঘটতে চলেছে। একটা পার্টির পক্ষে কখনই ২০১৯-এ ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়।
মোদী বিরোধিতায় এককাট্টা
তিনি বলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কোনও একটি পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। যে পক্ষই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে। আর এমতাবস্থায় পাল্লাভারী বিরোধীদেরই। কেননা মোদী বিরোধিতায় অনেক বড় পার্টিই এককাট্টা।
২০০৪ থেকে ২০১৪ পরপর সাফল্য
তাঁর কথায়, ২০০৪-এ যখন কোনও পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না, মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। সেই সরকার ১০ বছর দিল্লির ক্ষমতায় ছিল, দেশ শাসন করেছে। পরপর দুটি নির্বাচন জিতেছিল ইউপিএ। আজ ফের সেই একই পরিস্থিতি। ফলে পরিবর্তনের দিকেই হাঁটছে দেশ।
উজ্বল ভারত-ও হার
শারদ পাওয়ার বলেন, ২০০৪-এর নির্বাচনের আগে অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন ক্ষমতায়, তখন উজ্বল ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সেই আঙ্গিকে হয়েছিল ভোট। কিন্তু আদতে দেখা গিয়েছিল গত পাঁচ বছরের এনডিএ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রদর্শন করেছেন দেশের মানুষ। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার হেরে গিয়েছিল নির্বাচন।
মোদীর বিকল্প কে হবেন
কিন্তু মোদী বিরোধী মুখ কি বিরোধী জোটের আছে? মোদীর বিকল্প কে হবেন দিল্লির তখতে? এই প্র্শ্নের উত্তরে শারদ পাওয়ার বলেন, ২০০৪-এও ঠিক একই প্রশ্ন উঠেছিল। তখন বিজেপির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী, তখনও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বাজপেয়ীর বিকল্প কে হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছিল, বাজপেয়ীর বিকল্প বিরোধী তূণে ছিল। এবারও ঠিক তেমনটাই হতে চলেছে।
বাজপেয়ী না মোদী
শারদ পাওয়ার বলেন, তুলনা করুন বাজপেয়ী ও মোদীর নেতৃত্বের। তাঁদের প্রধানমন্ত্রিত্ব ও নেতৃত্বগুণ বিচার করুন, দেখবেন ভারতী জনতা পার্টির অনেক বড় নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী। আমি সেটাই মনে করি। আমি মনে করি না ওই পার্টিতে আর সেই পরিস্থিত রয়েছে।