‘জ্বলন্ত ইস্যু থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতেই নাগরিকত্ব আইনের ফাঁদ পেতেছে বিজেপি’
দেশ সমস্যায় জর্জরিত নানা গুরুতর ইস্যুতে। সেই গুরুতর ইস্যুগুলি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এই নাগরিকত্ব আইনের ফাঁদ পাতা হয়েছে।
দেশ সমস্যায় জর্জরিত নানা গুরুতর ইস্যুতে। সেই গুরুতর ইস্যুগুলি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এই নাগরিকত্ব আইনের ফাঁদ পাতা হয়েছে। এভাবেই এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পওয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক রেজিস্ট্রার ইস্যুতে।
শারদ পাওয়ার বলেন, সিএএ এবং এনআরসি দেশের সমস্ত গুরুতর সমস্যাগুলিকে ভুলিয়ে রেখেছে্। এই গুরুতর সমস্যাগুলির দিতে জনগণ যাতে দৃষ্টি দিতে না পারে তার জন্য নাগরিকত্ব আইন এনে এনআরসি আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সরকার সারা দেশে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কেবল সংখ্যালঘুরাই নন, যাঁরা দেশের ঐক্য ও অগ্রগতির প্রতি যত্নশীল তাঁরা সিএএ এবং এনআরসি'র বিরোধিতা করছেন। নতুন নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে দিচ্ছে। এনআরসি আতঙ্কে সারা দেশে আগুন জ্বলছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেবলমাত্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন শ্রীলঙ্কার তামিলদের সংশোধিত আইনের আওতায় আনা হবে না। ইতিমধ্যে বিহারসহ আটটি রাজ্য, বিজেপির মিত্র রাজ্য এবং বিজেপিশাসিত কর্ণাটকও আইন প্রয়োগ করতে অস্বীকার করেছে।
শারদ পাওয়ার বলেন, মহারাষ্ট্রেরও এই জাতীয় অবস্থান গ্রহণ করা উচিত। সিএএ একটি কেন্দ্রীয় আইন হতে পারে, তবে বাস্তবায়ন রাজ্য সংস্থাগুলিই করবে। রাজ্যগুলি তা করতে ইচ্ছুক নয়। প্রতিদিনই এক-একটা করে রাজ্য বেঁকে বসেছে এই আইন প্রয়োগ করা নিয়ে।