বিজেপিকে সমর্থন করলেই রাষ্ট্রপতি পদ! মেয়েকে মন্ত্রিত্ব, মোদীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান পাওয়ারের
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পর চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে একসাথে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পর চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে একসাথে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মতানৈক্য রয়েছে ঠিকই, তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে তা কোনও বাধা হবে না।
শারদ পাওয়ারের বিবৃতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস জোট। তারা বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠনের পর শারদ পাওয়ারের এই বিবৃতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে পাওয়ার বলেন, তিনি এবং তাঁর দল এনসিপি কেবল বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করে না।
শারদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সহায়ক হবে মোদীর
শারদ পাওয়ার আরও বলেন, মোদী আমাকে বলেছিলেন আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাঁর পক্ষে সরকার পরিচালনায় সহায়ক হবে। আমরা দু'জনই জাতীয় কিছু বিষয়ে একই মত পোষণ করি, তাই তিনি এই প্রস্তাব দেন। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে ২০ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন এনসিপি প্রধান। যদিও পাওয়ার তখন বলেছিলেন, তাঁরা বৈঠকে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতির পদ প্রস্তাব মোদীর!
মহারাষ্ট্রে এনসিপি বিজেপিকে সমর্থন করলে, বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী শারদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতির পদ প্রস্তাব করেছিলেন। তবে, রাষ্ট্রপতি পদের প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়াও মোদীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে মন্ত্রী করার প্রস্তাবও দেন নরেন্দ্র মোদী। তাও প্রত্যাখ্যান করেন শারদ পাওয়ার।
কোন পরস্থিতিতে মোদীর প্রস্তাব শারদকে
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসাবে ১০৫টি আসনে জয়লাভ করেছিল। জোটসঙ্গী শিবসেনা পেয়েছিল ৫৬টি আসন। পরে শিবসেনা জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এনসিপি এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ৫৪ এবং ৪৪টি আসন পেয়েছিল। পরে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে।