নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ হবে না ১০ রাজ্যে! মহারাষ্ট্রকেও সেই পথ দেখালেন পাওয়ার
অবিজেপি আট রাজ্য আগেই নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির বিরোধিতা করেছে। এই আইন ও এনআরসি রাজ্যে প্রয়োগ করা হবে না বলে রাজ্যগুলির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অবিজেপি আট রাজ্য আগেই নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির বিরোধিতা করেছে। এই আইন ও এনআরসি রাজ্যে প্রয়োগ করা হবে না বলে রাজ্যগুলির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। তারপর বিজেপির মিত্র রাজ্য বিহার ও বিজেপিশাসিত কর্ণাটকও একই সিদ্ধান্ত নেয়। এবার বেঁকে বসতে পারে মহারাষ্ট্রও।
শারদ পাওয়ার বলেন, মহারাষ্ট্রেরও এই জাতীয় অবস্থান গ্রহণ করা উচিত। সিএএ একটি কেন্দ্রীয় আইন হতে পারে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন রাজ্যই করবে। অবিজেপি রাজ্যগুলি তা করতে ইচ্ছুক নয়। প্রতিদিনই এক-একটা করে রাজ্য বেঁকে বসেছে এই আইন প্রয়োগ করা নিয়ে। বেঁকে বসছে বিজেপি শাসিত রাজ্যও।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেবলমাত্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন শ্রীলঙ্কার তামিলদের সংশোধিত আইনের আওতায় আনা হবে না। ইতিমধ্যে বিহারসহ আটটি রাজ্য, বিজেপির মিত্র রাজ্য এবং বিজেপিশাসিত কর্ণাটকও আইন প্রয়োগ করতে অস্বীকার করেছে।
দেশ সমস্যায় জর্জরিত নানা গুরুতর ইস্যুতে। সেই গুরুতর ইস্যুগুলি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতেই এই নাগরিকত্ব আইনের ফাঁদ পাতা হয়েছে। এভাবেই এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পওয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক রেজিস্ট্রার ইস্যুতে।
তিনি বলেন, কেবল সংখ্যালঘুরাই নন, যাঁরা দেশের ঐক্য ও অগ্রগতির প্রতি যত্নশীল তাঁরা সিএএ এবং এনআরসি'র বিরোধিতা করছেন। নতুন নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে দিচ্ছে। এনআরসি আতঙ্কে সারা দেশে আগুন জ্বলছে।