১.৬৫ লক্ষ ভোট পেয়ে বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড গড়লেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত, টুইটে ধন্যবাদ
১.৬৫ লক্ষ ভোট পেয়ে বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড গড়লেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত, টুইটে ধন্যবাদ
দুই রাজ্যে এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপ–মুখ্যমন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। বৃহস্পতিবার ছিল হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোট গণনা। এদিন বারামতি কেন্দ্র থেকে অজিত পাওয়ার ১.৬৫ লক্ষ ভোট পেয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন। ২১ অক্টোবর এই দুই রাজ্যে ভোট হয়।
এর পাশাপাশি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন শিবসেনা প্রার্থী দিলীপ ভাউসাহেব লাণ্ডে। উত্তর মুম্বইয়ের চাঁন্দিভালি কেন্দ্র থেকে তিনি মাত্র ৪০৯ ভোটে জিতেজেন। এটাই সবচেয়ে কম ভোট বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। ছ’বারের বিজয়ী অজিত পাওয়ার এ বারও যে পুনে থেকে জিতবেন সে বিষয়ে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, অজিত পাওয়ারের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির গোপীচাঁদ পালকার। অজিত পাওয়ারের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১,৬৫,২৬৫। এনসিপি প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত মোট ভোট পেয়েছেন ১,৯৫,৬৪১। যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পালকার পেয়েছে মাত্র ৩০,৩৭৬ ভোট। অজিত পাওয়ার জয়ী হওয়ার পরই টুইট করে নিজের কেন্দ্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
৬০ বছরের এনসিপি নেতার পরই বেশি সংখ্যক ভোট জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি বিশ্বজিত কদম। তিনি তাঁর বিপরীতে শিবসেনা প্রার্থী সঞ্জয় বিভূতেকে ১,৬২,৫২১ ভোটে হারিয়েছেন। বিশ্বজিত কদম পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাংগলি জেলার পালুস কাদেগাঁও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেসের ধীরাজ দেশমুখ, যিনি লাটুর থেকে দাঁড়ান। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই তিনি বাজিমাত করে দেন। শিবসেনা প্রার্থী শচীন রামরাজে দেশমুখকে ১,২১,৪৮২ ভোটে হারান তিনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কমপক্ষে পাঁচজন প্রার্থী এক হাজারেরও কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। চাঁন্দিভালিতে সেনা প্রার্থী দিলীপ ভাউসাহেব মাত্র ৪০৯ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন কংগ্রেসের নাসিম খানকে। অর্জুন–মোরগাঁও কেন্দ্রে এনসিপি প্রার্থী মনোহর গোর্বধন চন্দ্রিকাপুরের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭১৯। তিনি এই ভোট পেয়েই হারিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজকুমার বাদোলেকে। সোলাপুর জেলার সাংগোলা কেন্দ্রে কৃষক ও শ্রমিকদেরই বসবাস। এই কেন্দ্র থেকে ১১ বারের বিজয়ী পিডব্লিউপির শীর্ষ নেতা গণপতরাও দেশমুখ। তিনি বহুদিন ধরে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় রয়েছেন। কিন্তু এ বছরই তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে অস্বীকার করেন। তবে তাঁর বদলে ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই নাতি অনিকেত দেশমুখ। যিনি শিবসেনার শাহাজিবাপু রাজারাম পাটিলের কাছে মাত্র ৭৬৮ ভোটে পরাজয় হয়েছেন। দন্দ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সুভাষরাও কুল ৭৪৬টি ভোট পেয়ে এনসিপি প্রার্থী রমেশ কিষৈনরাও থোরাটকে পরাজিত করেন। বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর মাত্র কয়েকটি ভোটের ব্যবধান ছিল। অন্যদিকে কোপারগাঁও কেন্দ্র থেকে এনসিপি প্রার্থী আশুতোষ অশোকরাও কালে ৮২২টি ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর বিপরীতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্নেহালতা কোলে।
নির্দলরা ভিড়ছে বিজেপির দিকে, হরিয়ানায় সরকার গঠন করতে আর কটা আসন দরকার পদ্ম শিবিরের?