মোদীর বিকল্প কে? রাহুলের থেকেও এগিয়ে যাঁরা, নাম প্রকাশ করে দিলেন পাওয়ার
ভোটের আগে থেকেই একটা প্রশ্ন উঠছিল বিরোধীরা জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? ইউনাইটেড ফ্রন্টের নেতা হবেন কে? ভোটের আগে সেই বিতর্ক তুলে রাখলেও, ভোট যত শেষ হয়ে আসছে, ততই তা নিয়ে সরগরম হচ্ছে জাতীয় রাজনীতি।
ভোটের আগে থেকেই একটা প্রশ্ন উঠছিল বিরোধীরা জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? ইউনাইটেড ফ্রন্টের নেতা হবেন কে? ভোটের আগে সেই বিতর্ক তুলে রাখলেও, ভোট যত শেষ হয়ে আসছে, ততই তা নিয়ে সরগরম হচ্ছে জাতীয় রাজনীতি। তৃতীয় দফা ভোটের শেষ শারদ পাওয়ারের মতো প্রবীণ নেতাও এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
পাওয়ারের মতে এগিয়ে যাঁরা
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস দলের প্রধান শারদ পাওয়ার মনে করেন, রাহুল গান্ধীর থেকেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন তাদের হাতে। এক নয়, একাধিক অপশন রয়েছে তাঁদের। কিন্তু কে তাঁরা? তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শারদ পাওয়ার। তিনি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বহুজন সমাজ পার্টির সভাপতি মায়াবতীরা রাহুল গান্ধীর থেকেও অগ্রগণ্য এবং যোগ্যতর।
কেন এগিয়ে ওঁরা
শারদ পাওয়ারের কথায়, "মমতা, মায়া, নাইডুরা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর তুলনায় অনেক অভিজ্ঞ এবং যোগ্য। এনডিএ-র প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর ভালো বিকল্প তাঁরাই হতে পারেন। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শারদ পাওয়ার বলেন এ কথা। তিনি মনে করেন, মোদীবিরোধী জোট এখনও বিদ্যমান আছে।
রাহুলকে নিয়ে আলোচনা বৃথা
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে আলোচনা ভিত্তিহীন। শারদ পাওয়ারের এহেন বক্তব্যের আগে মায়াবতী তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে ফেলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর অবশ্য দাবি বিজেপিকে হারানোই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে তাঁরা ভাবছেন না।
বিজেপিকে হারানোই অগ্রাধিকার
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার আগে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোই তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার পেয়ে এসেছে। ভোটের ফলাফলের পরই বিরোধী নেতা হিসেবে কেউ আবির্ভূত হতে পারেন। এবারের নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ছে শারদ পাওয়ারের এনসিপি। তিনি নির্বাচনের পর এনডিএ-র বাইরে থাকা দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠনের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহী।
এনডিএ-র টিম বিরোধী জোটে!
তিনি বলেন, "আমরা নির্বাচনের পর এনডিএ থেকে আমাদের জোটে কিছু দলকে আনতেই পারি। আমরা সবাই পৃথকভাবে ভোট-যুদ্ধে সামিল হয়েছি ঠিকই। নির্বাচনের পর, আমরা একসাথে আসতেই পারি। সেই সম্ভাবনার পথ খোলাই রয়েছে। ২০০৪ সালে নির্বাচনের পর সোনিয়াজির বাসভবনে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তখনই আমরা অনেক অ-বিজেপি জোটের অংশীদারদের সমর্থন পাওয়ার কথা বলেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য, অন্তত ১০ বছরের জন্য দেশে একটি বিকল্প স্থিতিশীল সরকার গঠন করা।