কংগ্রেসের হাত ধরবে তৃণমূল! ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা শারদ পাওয়ারের
কংগ্রেসের হাত ধরবে তৃণমূল! ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা শরদ পাওয়ারের
২০২৪-এর লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস কি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবে? নাকি তৃণমূল অন্যান্য আঞ্চলিক দলকে নিয়ে আলাদা জোট করার ভাবনায় অবিচল থাকবেন? নির্বাচনের ২০ মাস আগেও জল্পনার শেষ নেই। এরই মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বয়ান দিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তাঁর বয়ানে জোট-ভবিষ্যৎ নিয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি!
একদিকে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্য, অন্যদিকে মোদী হটাও
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যেমন হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ঘূঁটি সাজাচ্ছে, তেমনই বিরোধীরাও কোমর বাঁধছে। বিরোধী নেতৃত্ব একত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কুর্সি থেকে সরাতে মরিয়া। কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দল চাইছে একজোট হয়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে। সেজন্য তারা বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে নিয়ে চলতে প্রস্তুত।
এক আশাব্যাঞ্জক বার্তা শারদ পাওয়ারের
কিন্তু বেঁকে বসেছে কিছু কিছু আঞ্চলিক দল। তার মধ্যে অগ্রগণ্য অবশ্যই বাংলার তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সাম্র্েতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে নেমে গিয়েছে। এই অবস্থায় দুটি দল একসঙ্গে চলবে কী করে, তা নিয়ে রয়েছে বড় প্রশ্ন চিহ্ন। তবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার এক আশাব্যাঞ্জক বার্তা দিয়েছেন বিরোধীদের জন্য।
কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদের জোটে মমতা
জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধীদের অন্যতম প্রধান মুখ এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার বলেন, অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয় পক্ষই বৃহত্তর স্বার্থে হাত ধরাধরি করে হাঁটবে। কংগ্রেস ও তৃণমূল বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট গঠন করতে প্রস্তুত হবে। তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট গড়তে নিজেই আগ্রহী হবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আশাবাদী পাওয়ার
এনসিপি প্রধান বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না থাকলেও সমস্ত কিছু ভুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের হাত ধরবেন ২০২৪-এপর নির্বাচনে। বাংলার ভোটের সময় কংগ্রেসের অংশগ্রহণ বিজেপির সুবিধা করে দেবে বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হলেও, তা ভুলে জাতীয় পরিসরের কথা চিন্তা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট গঠন করতে প্রস্তুত হবেন।
মমতার অবস্থান বিজেপিপন্থী ত্রিপুরা, গোয়ায়
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল ভোট জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে ত্রিপুরা ও গোয়ার মতো রাজ্যে তৃণমূল তৎপর হয়ে ওঠে। এবং কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দেওয়ার চেষ্টা করে। বিজেপিকে অনেকটাই সুবিধা করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবারই জোট প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস উত্থাপন করেছে মমতার অবস্থান বিজেপিপন্থী।
আ্রঞ্চলিক দলগুলি জোট করলে পরাস্ত হবে বিজেপি
কিন্তু সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী আঞ্চলিক দলকে নিয়ে জোটের কথাই বলেছেন। কংগ্রেসকে তিনি দূরে সরিয়ে রেখছিলেন তাঁর অঙ্ক থেকে। এই অবস্থায় কংগ্রেস বা সিপিএমের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোট নিয়ে সবসময় সংশয় রয়ে গিয়েছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। বিহারে বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে নীতীশকুমার চলে এসেছেন মহাজোটের দিকে। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে আনার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা ভোটের পর রাজ্যের আ্রঞ্চলিক দলগুলি জোট করলে পরাস্ত হবে বিজেপি।