সিএএ নিয়ে বিজেপির পাল্টা দিতে 'গান্ধী শান্তি' যাত্রা যশবন্ত সিনহার, সূচনা করলেন শরদ পাওয়ার
বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বইয়ে সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি বিরোধী যাত্রার সূচনা করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার রাষ্ট্র মঞ্চের এই 'গান্ধী শান্তি' যাত্রার সূচনা করতে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া পৌঁছআন শরদ পাওয়ার। সেখানে বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি নেতা প্রকাশ আম্বেদকরও উপস্থিত ছিলেন।
|
গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে শুরু হয় গান্ধী শান্তি যাত্রা
বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া এই গান্ধী শান্তি যাত্রা মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে শুরু হয়ে ৩০ জানুয়ারি দিল্লির রাজঘাটে গিয়ে পৌঁছাবে। সেদিনই মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিবস। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা হয়ে দিল্লি পৌঁছাবে যাত্রাটি।
সিএএ-র সমর্থনে দেশজুড়ে পথে নেমছে বিজেপি
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে লোককে বোঝাতে রবিবার থেকে পথে নেমছে বিজেপি। দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যহত। তবে বিরোধীদের এই তোপকে পাল্টা জবাব দিতে এই প্রচার অভিযান ৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে। 'নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিরোধীরা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে', এমন দাবি তুলে বারবার সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ। এবার সেই বক্তব্যকেই সামনে রেখে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে বিজেপি।
বিজেপির পাল্টা এই সিএএ বিরোধী যাত্রা
সেই প্রচারের বিরুদ্ধেই এবার ময়দানে নামলেন যশবন্ত সিনহা। যাতে সমর্থন দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। নতুন এই আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি লোকসভায় ৩১১-৮০ ব্যবধানে পাশ হয়। পরে রাজ্যসভায় এটি পাশ হয় ১২৫-৮২ ব্যবধানে। এরপরও বিলটি নিয়ে দেশজুড়ে ক্রমশ বিক্ষোভ চলছে। বেশ কয়েকটি জায়গাতেই তা হিংসার রূপও নিয়েছে।