গোধরা মামলায় অমিত শাহের জামিনের পিছনে শরদ পাওয়ার! সামনায় 'কৃতজ্ঞতা' দাবি শিবসেনার
গোধরা মামলায় অমিত শাহের জামিনের পিছনে শরদ পাওয়ার! সামনায় 'কৃতজ্ঞতা' দাবি শিবসেনার
শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) জন্যই শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। সেই শিবসেনারই মুখপত্র সামনায় (Samna) শরদ পাওয়ারকে নিয়ে 'কৃতজ্ঞতা' মন্তব্য। এদিন শিবসেনার মুখপত্র সামনার সাপ্তাহিক কলমে দাবি করা হয়েছে, ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার মামলায় বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জামিন পেতে সাহায্য করেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তবে সামনার সম্পাদকীয়তে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি।
সামনায় পাওয়ার-শাহ সম্পর্কের কথা
এদিন প্রকাশিত সামনার সাপ্তাহিক কলামে বলা হয়েছে, অমিত শাহ বারে বারেই মহারাষ্ট্র নিয়ে বাজে কথা বলে থাকেন। মহারাষ্ট্রের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই তাঁর এই মন্তব্য বলেও সেখানে বলা হয়েছে। তারপরেই বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র ও মারাঠিদের জন্য তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। সেখানে বলা হয়েছে, যখন ইউপিএ সরকার মোদী ও শাহের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, সেই সময় পাওয়ার ও মোদীর মধ্যে ভাল যোগাযোগ ছিল। সেই কারণেই অমিত শাহ গোধরা মামলায় জামিনে মুক্তি পান।
সঞ্জয় রাউতের বদলে দায়িত্বে অন্য কেউ
অর্থ তছরুপের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে বন্দি দশা কাটাচ্ছেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনিই সামনার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব সামলাতেন এবং সাপ্তাহিক কলম লিখতেন। তিনি জেলা যাওয়ার পর থেকে কাদাকনাথ মুম্বইকর নামে সেই কলমটি লেখা হচ্ছে।
বাস্তব সত্য
সামনায় আরও লেখা হয়েছে, গোধরা মামলায় অমিত শাহকে শরদ পাওয়ারের সাহায্য করার বিষয়টি শুধুই প্রকাশিত খবর নয়, বাস্তব সত্য। এছাড়াও সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য একটি বিষয়ে অমিত শাহকে সাহায্য করতে তৎকালীন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে সরকারের মতো কাজ করেছিলেন। শুধু সঞ্জয় রাউত এব্যাপারে আরও লিখতে পারবেন বলেও বলা হয়েছে সেখানে। এছাড়াও শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরেও আরও বলতে পারবেন বলেও বলা হয়েছে সেখানে। সেই অমিত শাহই এখন শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
দাবি ভিত্তিহীন, কী ভাবে জড়িত থাকতে পারেন পাওয়ার
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেছেন এই কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যার কোনও ভিত্তি নেই বলেই পাল্টা দাবি করেছেন তিনি। এইসব ভিত্তিহীন কথা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করকে চান না বলেও জানিয়েছেন প্রফুল প্যাটেল। শরদ পাওয়ার কীভাবে গোধরা মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন প্রফুল প্যাটেল।
নেতৃত্ব দিশাহীন! সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দল ছাড়লেন কংগ্রেসের আরও এক প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতা