'কাছ থেকে দু’বার গুলি করেছিলাম', পুলিসের কাছে রোমহর্ষক স্বীকারোক্তি নরেন্দ্র দাভোলকরের খুনির
৬ বছর আগের ঘটনা। ৬৭ বছরের বৃদ্ধ প্রতিবাদী সমাজকর্মী নরেন্দ্র দাভোলকরকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ২০১৩ সালের অগস্ট মাস সেটা। পুণের রাস্তায় ভোরে প্রতিদিনের মতোই প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। সামনে থেকে এসে আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করে তাঁকে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শরদ কলসকর নামে এক ব্যক্তিকে।

পুলিসের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় শরদ। নিজের স্বাকীরোক্তিতে শরদ জানিয়েছে সেদিন সামনে থেকে নরেন্দ্রকে পর পর দুটো গুলি করেছিল সে। একটা একেবারে মাথায় আর দ্বিতীয়টি তাঁর ডান চোখে। প্রথম গুলিটি লাগার পড়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র। তারপরে দ্বিতীয় গুলি করে শরদ।
গত অক্টোবরে শরদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গৌরী লঙ্কেশের খুনের ঘটনা। গৌরী লঙ্কেশকে খুন এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জেলে রয়েছে শরদ।
নরেন্দ্র দাভোলকরের পর একই ভাবে খুন করা হয়েছিল এমএম কালবুর্গি, গোবিন্দ পানসারে এবং সব শেষে গৌরী লঙ্কেশ। গৌরী লঙ্কেশের হত্যার তদন্তে নেমেই পুলিস জানতে পারে শরদ কলসকরের কথা। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় নল্লাসোপারায় বেআইনি পিস্তল তৈরির কারখানায় রেড করে শরদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। তাকে জেরা করেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিল গৌরী লঙ্কেশের খুনের পরিকল্পনায় হাত রয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। তারপরেই এই তথ্য কর্নাটক পুলিসকে নএজারনায় মনহারাষ্ট্র পুলিস। বীরেন্দ্র তাওড়ের নির্দেশেই নরেন্দ্রতে হত্যা করেছিল সে। বীরেন্দ্র শরদকে বলেছিল 'আমাদের কিছু খারাপ লোককে শেষ করে ফেলতে হবে।'
এমনকী তাওড়েই নাকি শরদকে বলেছিল সরাসরি নরেন্দ্রর মাথায় গুলি করতে হবে। যাতে তার আর বাঁচার সুযোগ না থাকে। গৌরী লঙ্কেশকে মারার আগেও দফায় দফায় বৈঠক করেছিল তাওড়ে।
২০১৬ সালে বেলজিয়ামে একটি বৈঠক হয়েছিল তাঁদের। সেখানেই তাওড়ে বলেছিল কয়েকজন লোক হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তখন গৌরী লঙ্কেশের নাম করেছিল তাওড়ে। সেখানেই গৌরীকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। এরকম একাধিক রোমহর্ষক স্বীকারোক্তি পুলিসের কাছে করেছে শরদ।
পুলিসকে জেরাও আরও অকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে শরদ, গৌরী লঙ্কেশকে হত্যার এক মাসের মধ্যে নাকি বম্বে হাইকোর্টের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি বিজি কোলসে পাটিলকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তাদের।