বারবার ইন্টারনেট শাটডাউন! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তেই ২০২০ তেই ২৮০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি
বারবার ইন্টারনেট বন্ধ করার কারণে অনেক টাকার ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরে নেতৃত্বাধীন প্যানেলের দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে বারবার ইন্টারনেট শাটডাউন করেছে, তাতে শুধুমাত
বারবার ইন্টারনেট বন্ধ করার কারণে অনেক টাকার ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরে নেতৃত্বাধীন প্যানেলের দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে বারবার ইন্টারনেট শাটডাউন করেছে, তাতে শুধুমাত্র ২০২০-তেই ২.৮ বিলিয়ন বা ২৮০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
প্যানেলের তরফ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে লোকসভায়। শশী থারুরে নেতৃত্বাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির তরফ থেকে সাসপেনশন অব টেলিকম অ্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস অ্যান্ড ইটস ইমপ্যাক্ট শীর্ষক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে লোকসভায়।
সেখানে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি এও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বারবার টেলিকম ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করায় সাধারণ মানুষের জীবনেও প্রভাব পড়েছে। ২০২০-র জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল যে, আর্টিকল ১৯ অনুযায়ী ইন্টারনেট ব্যবহার করা সাধারণ মানুষের অধিকার।
চলতি বছরের অক্টোবরে নতুন করে ওই প্যানেল তৈরি করা হয়। প্যানেলের চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হয় শশী থারুরকে। সেই প্যানেলই খতিয়ে দেখেছে যে, ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার কারণে কতটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার কারণে ঠিক কতটা প্রভাব পড়েছে, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে খতিয়ে দেখতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইন অনুসারে, শুধুমাত্র জরুরি অবস্থার জেরে ও সুরক্ষার স্বার্থে ইন্টারনেট শাটডাউন করা যায়। ওই প্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট শাটডাউন সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ ঠিক কোন পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট বন্ধ করা যায় তার কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই। কোনও পলিসি না তৈরি হওয়ায় আরও সমস্যা তৈরি হয়েছে।
প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে, পর্যটনে, অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে। রিপোর্ট বলছে, কোনও রাজ্যের সরকার তাদের ইচ্ছা মতো ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে। কেন্দ্রের কোনও গাইডলাইন না থাকায় রাজ্য সরকারের অধিকার তৈরি হয়েছে যে কোনও সময় পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার।
এই সংক্রান্ত একটি এসওপি বা গাইডলাইন তৈরি হওয়া প্রয়োজন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি একটি ডেটাবেস তৈরি করার কথা বলা হয়েছে, যেখানে কতবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে, কী কারণ বন্ধ হচ্ছে, এই সংক্রান্ত তথ্য থাকবে।
পাশাপাশি এও উল্লেখ করা হয়েছে যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হলেও কোন কোন পরিষেবা বন্ধ হবে, তার অপশন চালু করা উচিৎ। অর্থাৎ পুরোপুরি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম যে কোনও পরিষেবা বন্ধ করার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।