সিএএ বিরোধী অবস্থান নিয়ে বেফাঁস শাহিনবাগ মাস্টার মাইন্ড, জানালেন ভারত 'ভাগ' পরিকল্পনার কথা
সিএএ বিরোধী অবস্থান নিয়ে বেফাঁস শাহিনবাগ মাস্টার মাইন্ড তথা জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র সারজিল ইমাম। তিনি বলেছেন, মুসলিমদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, তারা ভারত থেকে অসম তথা পুরো উত্তর-পূর্বকে বের করে দিত
সিএএ বিরোধী অবস্থান নিয়ে বেফাঁস শাহিনবাগ মাস্টার মাইন্ড তথা জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র সারজিল ইমাম। তিনি বলেছেন, মুসলিমদের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, তারা ভারত থেকে অসম তথা পুরো উত্তর-পূর্বকে বের করে দিতে পারে। শাহিনবাগেই ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি আন্দোলনে লক্ষ্যের কথা জানান। বলেন তাদের লক্ষ্য হল ভারত থেকে অসম ও উত্তর পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
রাস্তা রেলপথ অবরোধের ডাক
সারজিল ইমাম বলতে কার্যত বলতে চেয়েছেন শিলিগুড়ির চিকেনস নেকের কথা। যা সারা ভারতের সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের স্ট্র্যাটেজিক করিডর। ইমাম মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধের ডার দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টেই এই শাহিনবাগের মাস্টারমাইন্ড জানিয়েছিলেন, চাক্কা জ্যামই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য, বাকি সব সেকেন্ডারি।
অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক
তিনি বলেন, সবাই যদি একসঙ্গে আসেন, তাহলে উত্তরপূর্বকে সারা ভারতের থেকে আলাদা করে দিতে পারেন। পুরোপুরি না হলেও এক থেকে দুমাসের জন্য তা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র। বিক্ষোভকারীদের সরাতে প্রশাসনেরও একমাস সময় লেগে যাবে। যদি অসমকে সারা ভারতে থেকে আলাদ করে দেওয়া যায়, তাহলে কেন্দ্র তাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে। মন্তব্য করেছেন জেএনইউ-এর প্রাক্তন ওই ছাত্র।
চাক্কা জ্যাম আর ধর্নার পার্থক্য বোধানোর চেষ্টা
শাহিনবাগে দেওয়া ভাষণে সারজিল ইমাম বলেন, সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে চাক্কা জ্যাম আর ধর্নার মধ্যে পার্থক্যটা কী। সব শহরে ধর্নার আয়োজন করে সেখান থেকে মানুষকে চাক্কা জ্যাম নিয়ে বোঝানো হোক। এরপর বড় রাস্তায় অবস্থানের পরিকল্পনা নেওয়া যাবে।
ডোকলাম নিয়ে বেজিং-এর লক্ষ্য ছিল উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করা
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে ডোকালাম নিয়ে বেজিং-এর উদ্দেশ্য ছিল উত্তর পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রের মুখ থেকে সেই পরিকল্পনার কথাই শোনা গেল।