শাহিনবাগে সুপ্রিম কোর্টের মধ্যস্থতাকারী, নিরাপত্তার লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি আন্দোলনকারীদের
সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী সুধা রামচন্দ্রন শাহিনবােগ পৌঁছতেই প্রতিবাদী মহিলারা লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করলেন।
সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী সুধা রামচন্দ্রন শাহিনবােগ পৌঁছতেই প্রতিবাদী মহিলারা লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করলনে। দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সুধা রামচন্দ্রন সেখানে গিয়ে প্রথমে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। সেখানে কোনও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি থাকবেন না বলে জানান তিনি। তখনই এক প্রতিবাদী মহিলা তাঁর কাছে নিরাপত্তার লিখিত প্রতিশ্রুতি দাবি করেন।
শাহিনবাগে মধ্যস্থতাকারী
সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত মধ্যস্থতাকারী সুধা রামচন্দ্রন শাহিনবাগে পৌঁছে কেবলমাত্র মহিলা প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তিনি বলেন কোনও রকম মিডিয়া সেখানে থাকবে না। তখনই এক মহিলা প্রতিবাদী জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে তাঁদের শাস্তি সুনিশ্চিত করতে হবে। এবং এই ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মহিলা দাবি করেন, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এবং পুলিসি নিরাপত্তা দাবি করেন প্রতিবাদীরা।
রাস্তা বন্ধ করেছে পুলিস
শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল আন্দোলনের নামে জনগণের রাস্তা দীর্ঘদিন আটকে রাখা যাবে না। তার প্রেক্ষিতেই এদিন মধ্যস্থতাকারীকে প্রতিবাদীরা জানান, তাঁরা শাহিনবাগের ৯ নম্বর রাস্তা খুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি পুলিস সেটা বন্ধ করে দেয়। কেন দিল্লি পুলিস এই পদক্ষেপ করল তা জানাতে হবে। এতে আন্দোলনকারীদের বদনাম হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। এই অভিযোগ শোনার পর ৯ নম্বর রাস্তাটি পরিদর্শন করেন সুধা রামচন্দ্রন। এবং দিল্লি পুলিসের কাছে ব্যারিকেড দেওয়ার কারণ জানতে চান। দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয় আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিস।
শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের আক্রমণ
দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের একের পর এক আক্রমণাত্ম আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে বিজেপি েনতারা আপত্তিকর ভাষায় তাঁদের আক্রমণ করেছে। বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর প্রকাশ্যে বলেছিলেন দেশদ্রোহীদের গোলি মারো। কপিল মিশ্র বলেছিলেন, পাকিস্তান জবর দখল করেছে শাহিনবাগ। এমনকী অমিত শাহ পর্যন্ত বলেছিলেন দিল্লির ভোটে পদ্ম চিহ্নের বোতাম এত জোরে টিপুন যাতে তার শক শাহিনবাগে গিয়ে পৌঁছয়।