
‘শাবানা, জভেদ, নাসরুদ্দিন টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের সদস্য’, তীব্র কটাক্ষ মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের কটাক্ষের শিকার হলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি ও গীতিকার জাভেদ আখতার। তাঁদের নরোত্তম 'মিশ্র টুকরে টুকরে গ্যাং'য়ের স্লিপার সেলের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, রাজস্থানে কানহাইয়া লালের হত্যা নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করেননি। ঝাড়খণ্ডে মহিলাকে পুড়িয়ে মাড়ার ঘটনায় তাঁদের কোনও প্রতিবাদ দেখতে পাওয়া যায়নি। বিলকিস বানো মামলায় অপরাধীদের মুক্তির সময় তাঁরা বিরোধিতা করছেন। আসলে বিজেপি শাসিত রাজ্যে কিছু হলেই তাঁরা প্রতিবাদ করেন বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কী বলেছেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নরোত্তম মিশ্র বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও কিছু হলেই নাসিরুদ্দিন শাহ দেশে থাকতে ভয় পান। তাঁরা কীভাবে নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবি করেন। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, দেশে একাধিক জায়গায় নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনওবার তাঁরা প্রতিবাদ করেননি। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলেই তাঁরা সবার প্রথম প্রতিবাদ করেন। তাঁদের নরোত্তম মিশ্র টুকরো টুকরো গ্যাংয়ের স্লিপার সেলের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন।

শাবানা আজমির প্রতিক্রিয়া
১৫ অগাস্ট বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শাবানা আজমি একটি সাক্ষাৎকারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি বলেন, 'এই দেশের মহিলারা আর নিরাপদ বোধ করছেন না। প্রতিনিয়ত তাঁদের ধর্ষণের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। দেশের প্রতিটি মহিলাকে নিরাপত্তা দেওয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্য নয়? আমি আমার সন্তানদের, নাতি নাতনিদের কী জবাব দেব? বিলকিস বানোকে কী জবাব দেব? আমি লজ্জিত।'

বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তি
১৫ অগাস্ট বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন আসামি মুক্তি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গুজরাত সরকার একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তরফে বিলকিস বানো মামলায় অপরাধীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের কমিটির তরফে দাবি করা হয়, অপরাধীরা জেলের মধ্যে ভালো আচরণ করেছেন। যদিও জানা গিয়েছে, অপরাধীরা অনেকটা সময় করে প্যারোলে বাইরে থাকতেন। সেই সময় বিলকিস বানো মামলায় সাক্ষীদের হুমকি দিতেন। একাধিক অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতেন।

দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া
বিলকিস বানো মামলায় অপরাধীদের মুক্তির বিষয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রাক্তন আমলা, বিচারপতি, সাংবাদিক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন। সুপ্রিমকোর্ট মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে গুজরাত সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আগামী দিনে লোকে কতদিন বাঁচবে? বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ২০২২-এ ভারতের সম্ভাব্য সমস্যা নিয়েও