মহিলাদের ওপর যৌন হিংসার ঘটনায় বিশ্বে সবচেয়ে আগে দিল্লি, রাজধানীর মুকুটে নয়া কলঙ্ক
থমসন রয়টার্সের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বিশ্বের মধ্যে দিল্লিতে মহিলাদর নিরাপত্তা সবচেয়ে কম। একই রকম অবস্থা ব্রাজিলের সাও পাওলোরও।
দেশের রাজধানী বলে কথা! তবুও দিল্লির বুকে নির্ভয়া কাণ্ড থেকে শুরু করে একের পর এক মহিলাদের ওপর অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে চলেছে। ক্রমাগত তলানিতে যেতে শুরু করেছে রাজধানী দিল্লিতে মেয়েদের নিরাপত্তা। আর তার প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিককালের এক সমীক্ষায়। থমসন রয়টার্সের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বিশ্বের মধ্যে দিল্লিতে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। একই রকম অবস্থা ব্রাজিলের সাও পাওলোরও। মূলত যৌন অপরাধ ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনার নিরিখে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বিশ্বে মহিলাদের নিরাপত্তা সবচেয়ে কম এই দেশগুলিতে, তালিকায় ভারত কত নম্বরে জানেন]
সমীক্ষায় ভারতের 'রেপ ক্যাপিটাল' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে দিল্লিকে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে দিল্লিতে দিনে দুপুরে নির্ভয়ার নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন হয়। সেই পাশবিক ঘটনার ৫ বছর পূরণ হতে চলেছে এই বছরেরে ডিসেম্বরে। তার আগেই আবারও মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লির নাম নেতিবাচকভাবে উঠে এলো। সমীক্ষার এই রিপোর্টে ,দেশে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে সরকারী উদ্যোগ যেমন প্রশ্নের মুখে পড়েছে, ততটাই বেড়েছে দেশের লজ্জা।
সমীক্ষার এই তালিকায় মিশরীয় শহর কায়রোকে মহিলাদের নিরাপত্তার নিরিখে সবচেয়ে ভয়ানক শহর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে পাকিস্তানের করাচির নাম। যদিও লন্ডন মহিলাদের বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত শহর বলে উল্লেখিত। উল্লেখ্য, এই সমীক্ষায়, ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে নমুনা হিসাবে ধরা হয়েছে। মহিলা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দিল্লির স্থান, কায়রো, করাচি, কিনসাহাসার পরে। অর্থাৎ চতুর্থ স্থানে। ৩৮০ জন বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই কাজে। মূলত, যৌন অপরাধ ও হিংসা এবং মহিলাদের ওপর সংস্কৃতিগত অত্যাচারকে কেন্দ্র করেই সমীক্ষা সংগঠিত হয়েছে।