গোটা দেশেই বাড়ছে 'সেক্সটরশন', নতুন ধারার সাইবার ক্রাইমে চিন্তা বাড়াছে গুজরাত-অসম-তেলেঙ্গানায়
সময়ের তালেই বদলে যাচ্ছে অপরাধের ধরণ। এদিকে করোনাকালে আম-আদমির জীবনে ডিজিটাইজেশনের ছাপ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন দুনিয়াতেও মাথাচাড়া দিচ্ছে তাবড় তাবড় অপরাধীরা। এমনকী তাদের অপরাধের কৌশল দেখেো চোখ কপালে তুলছেন অনেকে। এদিকে ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি রিপোর্ট ২০২০ বলছে ব্যক্তিগত শত্রুতা ও শুধুমাত্র ব্ল্যাকমেলিংয়ের কারণেই সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে সাইবার দুনিয়ার কালো জগত।
কী কারণে বাড়ছে সাইবার অপরাধ
এনসিআরবি রিপোর্ট ২০২০-তেই বলা হয়েছে গত বছর গোটা দেশে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে ১৪৭০ জন মানুষ সাইবার ক্রাইমের শিকার হন। কাছের মানুষদের কাছেই প্রতারিত হয়েছে তারা। অন্যদিকে গত বছর গোটা দেশে ৩২৯৩ জন 'সেক্সটরশনের' বা যৌনতার বিনিময়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হন। অন্যদিকে গোটা দেশে ৩৬৫টি কেস রয়েছে যেগুলিতে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই 'সাইবার অপরাধ' রাস্তায় হাঁটে দুষ্কৃতীরা।
১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সামগ্রিক সাইবার অপরাধের পরিমাণ
অন্যদিকে সমাগ্রিক সাইবার ক্রাইমের বিচারে গত বছর গোটা দেশে এই ধরণের অপরাধের পরিমাণ ১২ শতাংশ বেড়ে যায়। গত বছর গোটা দেশে মোট রেজিস্টার্ড কেসের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ৭০৮। কমপক্ষে ১,০০০ কেস রয়েছে এমন রাজ্যের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে তেলেঙ্গানা। সেখানে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ভয় ধরাচ্ছে গুজরাত
অন্যদিকে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। মোদী গড়ে গত বছর সাইবার অপরাধে প্রায় ৬৪ শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম রয়েছে তৃতীয় স্থানে। সেখানে এই জাতীয় অপরাধ ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে অপরাধের হার, বা প্রতি ১ লক্ষ মানুষের নিরিখে মোট মামলার ক্ষেত্রেও অসম রয়েছে তৃতীয় স্থানে। অসমে এই হার ১০.১ শতাংশ (প্রতি ১০ হাজার মানুষ পিছু কেসের নিরিখে)। অন্যদিকে কর্নাটকে এই হার ১৬.২ শতাংশ। তেলেঙ্গানায় এই হার ১৩.৪ শতাংশ।
কী বলছে অসমের অপরাধের গতিপ্রকৃতি
এদিকে অসমের ৩ হাজার ৫৩০টি সাইবার অপরাধের ঘটনার মধ্যে বেশিরভাগই ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে ঘটানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে্। অন্যদিকে মোট সাইবার ক্রাইমের সিংহভাগই প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও যৌনতার বিনিময়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের কারণে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মোট কেসের মধ্যে এই ধরণের ঘটনার পরিমাণ ৪৫ শতাংশের উপরে। সেখানে গোটা দেশের নিরিখে এই সংখ্যা ১৪.৩ শতাংশ।