তীব্র আর্থিক মন্দার নাগপাশে ভারত! ১০ শতাংশের গণ্ডি পার করতে চলেছে শহরাঞ্চলের বেকারত্বের হার
তীব্র আর্থিক মন্দার নাগপাশে ভারত! ১০ শতাংশের গণ্ডি পার করতে চলেছে শহরাঞ্চলের বেকারত্বের হার
করোনা ধাক্কায় ইতিমধ্যেই কুপোকাত দেশীয় অর্থনীতি। সেই সঙ্গে থমেকেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিও। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বেকারত্বের হারও। এমতাস্থায় শহর অঞ্চলের বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে ফের দুঃসংবাদ শোনাল সেন্টার ফর মনিটারিং ইণ্ডিয়ান ইকোনমিক বা সিএমআইই।
বাড়ছে শহরাঞ্চলের বেকারত্ব
সিএমআইই কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যানুসারে, অগাস্টে শহরাঞ্চলের বেকারত্বের পরিমাণ ৯.৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জুলাইয়ে এই হার ছিল ৯.১৫ শতাংশ। এই রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে বর্তমানে নগরাঞ্চলে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনই কাজের খোঁজ পাচ্ছেন না।
প্রতিমাসেই চাকরি হারাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ
এদিকে হাজারো চেষ্টা করেও কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনাকালীন বেকারত্বে। বিশেষজ্ঞদের মতে লকডাউন মিটতে দেশীয় অর্থব্যবস্থা ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরলেও প্রতিমাসেই চাকরি হারাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। এর আগে সিএমআইই তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে শুধুমাত্র জুলাইয়ে গোটা দেশে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ বেতনভোগী কর্মচারী।
শহরের পাশাপাশি খারাপ হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা
এদিকে শহরের পাশাপাশি খারাপ হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের অবস্থাও। জুলাইয়ের থেকে অগাস্টে দেশের গ্রামাঞ্চলগুলিতে ক্রমেই বেড়েছে বেকারত্বের পরিমাণ। অগাস্টে গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭.৫ শতাংশ। জুলাইয়ে যা ছিল ৬.৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে করোনাকালীন সঙ্কটের আগে গোটা দেশে গড় বেকারত্বের হার ছিল ৭.২২ শতাংশ থেকে ৭.৭৬ শতাংশের আশেপাশে।
সবথেকে খারাপ অবস্থা হরিয়ানার
অন্যদিকে এই ক্ষেত্রে সর্বাধিক খারাপ অবস্থা হরিয়ানার। সেখানে বর্তমানে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৩৩.৫ শতাংশ। তারপরেই রয়েছে ত্রিপুরা। সেখানে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ২৭.৯ শতাংশে। এদিকে এই মহূর্তে বেকারত্বের জাতীয় গড় দাঁড়িয়েছে ৮.৩৫ শতাংশে। যা জুলাইয়ে ছিল ৭.৪৩ শতাংশ।
বাংলায় করোনার মৃত্যুর হার নামল ২-এর নিচে! বাড়ছে সুস্থতা, পরিসংখ্যানে স্বস্তি