লকডাউনে স্তব্ধ অর্থনীতি, কোন খাতে কত টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করল আরবিআই?
এর আগে ভারতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে রেপো ও রিভার্স রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। তা সত্ত্বেও লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে এদিন ফের সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
ব্যাঙ্কিং শিল্পকে মজবুত করতে একাধিক পদক্ষেপ
এদিন নগদ প্রবাহ বাড়াতে এবং ব্যাঙ্কিং শিল্পকে মজবুত করতে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানান আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, 'পয়লা মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে আরবিআই এক লাখ কুড়ি হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছেড়েছে।'
ব্যাঙ্কগুলিকে ডিভিডেন্ড দিতে মানা করা হয়েছে
এদিন আরবিআই গভর্নর বলেন, 'সারাদেশে ব্যাঙ্কিং কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে এ সংকটের মুহূর্তে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।' এছাড়া ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এলসিআর ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মুহূর্তে ব্যাঙ্কগুলিকে ডিভিডেন্ড দিতেও বারণ করা হয়েছে।
একাধিক খাতে কয়েক হাজার টাকার প্যাকেজ
এছাড়া এদিন ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ও আবাসন শিল্পে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, 'ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য আপাপতত ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেবে আরবিআই। এছাড়া আবাসন শিল্প খাতে দেওযা হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে। আবাসন শিল্পে নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যানশিয়াল কর্পোরেশনের ঋণ দেওয়ার উপর বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে।'
নাবার্ডের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ
পাশাপাশি নাবার্ডের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ এবং মাইক্রো ফিন্যান্সের জন্য ৫০ হাজার কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় এদিন।