১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে রাহুলের 'ব্রেকফাস্ট' মিটিং, ২ দলের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা
বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিভিন্ন বিরোধীদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)। এদিনের বৈঠকে ১৪ প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে সরকারের ওপরে চা
বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিভিন্ন বিরোধীদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)। এদিনের বৈঠকে ১৪ প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে সরকারের ওপরে চাপ বাড়াতে কৌশল নেওয়া হয়েছে। বিরোধী ঐক্য মজবুত করতেও ডাক দেওয়া হয়েছে।
রাহুল গান্ধীর ব্রেকফাস্ট বৈঠক
সংসদে
বিরোধী
দলগুলির
মধ্যে
ঐক্যকে
জোরদার
করতে
বৈঠক
ডেকেছিলেন
রাহুল
গান্ধী।
নাম
দেওয়া
হয়েছিল
ব্রেকফাস্ট
মিটিং।
বৈঠকে
১৪
টি
বিরোধীদের
নেতারা
হাজির
ছিলেন।
একেকটি
দলের
থেকে
একাধিক
নেতাকে
বৈঠকে
হাজির
থাকতে
দেখা
গিয়েছে।
এদিনের
বৈঠকে
কংগ্রেস
ছাড়াও
তৃণমূল,
আরজেডি,
শিবসেনা,
সমাজবাদী
পার্টি,
এনসিপি,
সিপিআই,
সিপিএম,
আরএসপি,
আইইউএমএল,
কেসিএম,
ন্যাশনাল
কনফারেন্স,
জেএমএম,
এবং
ডিএমকে।
এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের প্রায় ১০০ জন সাংসদ হাজির ছিলেন। রাহুল গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, মল্লিকার্জুন খারগে, অধীর চৌধুরী, কেসি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশের মতো নেতারা। বিরোধীদলগুলির মধ্যে অনেক দল থেকেই একাধিক প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। আগেকার এই ধরনের বৈঠক তৃণমূল এড়িয়ে গেলেও, এদিনের বৈঠকে মহুয়া মৈত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ প্রায় ১০ জন প্রতিনিধি হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠকে হাজির ছিল না যে দুটি দল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সখ্যতা থাকলেও, এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ সত্তেও হাজির ছিল না আপ। এছাড়াও মায়াবতীর বহুজন সমাজপার্টিও বৈঠকে হাজির না থেকে তাদের অবস্থান নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে। তবে এর আগেও আপ বিরোধী বৈঠক বিশেষ করে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছে। আপ নেচা সঞ্জয় সিং বলেছেন, বৈঠকে উপস্থিত কিংবা অনুপস্থিত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখনই এব্যাপারে বিশেষ করে সংসদে কৃষকদের কোনও বিষয় কিংবা আড়িপাতার বিষয় উঠেছে, তারা বিরোধীদেরই সমর্থন করেছেন।
উত্তর-দক্ষিণের সমন্বয়ে মেনু
এদিন রাহুল গান্ধীর ব্রেকফাস্ট মিটিং-এ উত্তর দক্ষিণের সমন্বয় দেখা গিয়েছে। কেননা উত্তর ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন দলের নেতারা হাজির ছিলেন। এদিনের ব্রেকফাস্টের মেনুতে ছিল চানা-ভটুরে, উপমা, ইডলি, স্যান্ডউইচ, ভরা-সম্বরও ছিল।
বৈঠকে আলোচনা
এদিনের বৈঠকে মক পার্লামেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাসি পেগাসাস এবং কৃষি বিল নিয়ে চাপ বজায় রাখার ব্যাপারে সকলেই সহমত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে রাহুল বলেছেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে। বিরোধীরা যত ঐক্যবদ্ধ হবে, তাদের গলার জোরও ততই বাড়বে, যা চেপে রাখা বিজেপি-আরএসএস-এর পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠবে।
যদিও সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে, একটা নন ইস্যুকে ইস্যু করে তুলতে চাইছে বিরোধীরা। সেই কারণে এটা সংসদে আলোচনার যোগ্য নয়।
বিধায়ককেই হুমকি তৃণমূলের বিধায়কের! অভিষেকের কাছে 'কাটমানি' নালিশ দলের নেতাদের