অমিত শাহের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীও! ছিলেন না যেসব মুখ্যমন্ত্রীরা, একনজরে
আন্তঃরাজ্য পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
আন্তঃরাজ্য পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সোমবার নতুন দিল্লিতে হওয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যগুলির পরিস্থিতি কী তা জানতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পাশাপাশি সেইসব রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা করার কথা ছিল এই বৈঠকে।
বৈঠকে ডাকা হয়েছিল ১০ রাজ্যকে
দ্বিতীয়বার
প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত
হওয়ার
তিনমাসের
মধ্যে
এই
ধরনের
বৈঠক
এই
প্রথম।
মাওবাদী
প্রভাবিক
দশ
রাজ্যকে
ডাকা
হয়েছিল
এই
বৈঠকে।
মমতা
কিংবা
কে
চন্দ্রশেখ
রাও
বৈঠকে
অনুপস্থিত
থাকলেও
অন্য
রাজ্যের
মুখ্যমন্ত্রী
কিংবা
তাঁদের
প্রতিনিধিরা
এই
বৈঠকে
হাজির
ছিলেন।
মাওবাদী
প্রভাবিত
১০
রাজ্য
হল,
ছত্তিশগড়,
ঝাড়খণ্ড,
ওড়িশা,
পশ্চিমবঙ্গ,
বিহার,
মহারাষ্ট্র,
তেলেঙ্গানা,
অন্ধ্রপ্রদেশ,
মধ্যপ্রদেশ,
উত্তর
প্রদেশ।
বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি মুখ্যসচিব এবং ডিজি
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেও বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিব। অন্যদিকে, কেসিআর হায়দরাবাদে ব্যক্তিগত সফরে ব্যস্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
অনুপস্থিতদের তালিকায় বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে অন্যতম মাওচবাদী প্রভাবিত এলাকা গডচিরোলি। কিন্তু সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ। জানা গিয়েছে, ফডনবিশ রাজ্যে মহাজনাদেশ যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। সেই রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন রাজ্যের ডিজিপি।
কমেছে মামলার সংখ্যা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০০৯-১৩ সালের মধ্যে য়েখানে রাজ্যগুলিতে মাওবাদী হামলা নিয়ে ৮৭৮২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে ২০১৪-১৮ সালের মধ্যে সেখানে মামলা দায়েরের সংখ্যা ৪৯৬৯ টি। মামলা কমেছে ৪৩.৪ শতাংশ।
মানুষের মৃত্যু কমেছে
পাশাপাশি মাওবাদী হামলায় রাজ্যগুলিতে মানুষের মৃত্যুও কমেছে। ২০০৯-১৩ সালের মধ্যে যেখানে ৩,৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে ২০১৪-১৮ সালের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১,৩২১ জনের। মৃত্যুর ঘটনা হ্রাস পেয়েছে ৬০.৪ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: দিদিকে বলোয় 'বাধা'! ২ বিজেপি নেতা গ্রেফতার, পাল্টা অভিযোগ গেরুয়া বাহিনীর]