সেনার ইনফর্মার বলে সন্দেহ! কাশ্মীরে ৭ জনের দলে বরাত জোরে অক্ষত রইলেন মুর্শিদাবাদের টিপু
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাহালনগরে থেকে সাতজনের যে দল গিয়েছিল কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে, তাঁদের মধ্যে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। একজনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাহালনগরে থেকে সাতজনের যে দল গিয়েছিল কাশ্মীরের কুলগামে, তাঁদের মধ্যে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। কিন্তু অপর একজন বেঁচে গিয়েছেন বরাত জোরে। রাতের খাবার আনতে যাওয়াতেই বেঁচে যায় বাসিরুল সরকার ওরফে টিপু। পরপর গুলির আওয়াজ শুনে সে আর ঘরমুখো হয়নি।
একমাস আগে গিয়েছিল
টিপুর বাড়ির লোক যেইসময় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন আল্লাকে, সেই সময় পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ। পাশের বাড়িই কামরুদ্দিনের। টিপু ফিরতে পারলেও, কাশ্মীর থেকে তার আর জীবিত অবস্থায় ফেরা হবে না। প্রায় মাসখানের আগে বাহালনগর গ্রাম থেকেই কাজের উদ্দেশে কাশ্মীরে গিয়েছিল টিপুরা।
ঘরে একসঙ্গে থাকলেও জঙ্গি হামলার সময়ে ছিল না টিপু
৫০০ টাকা রোজ আর ফ্রি খাবার। এইর টানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু মানুষ প্রতিবছরই আপেল বাগানে শ্রমিকের কাজ করতে যান। যেমন গিয়েছিল টিপুরা। কুলগাঁও-এর কাতরাসুতে রাস্তার ধারেই একটা ঘরে একসঙ্গে থাকতে কামরুদ্দিন আর টিপুরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধেয় যে সময় জঙ্গিরা হামলা চালায় সেই সময় জমির মালিকের বাড়িতে ভাত আনতে গিয়েছিল টিপু। একএকদিন একএকজন ভাত আনতে যেত। মঙ্গলবার দায়িত্বই টিপুকে বাঁচিয়ে দেয় জঙ্গি হামলা থেকে।
সোমবার বিকেলে জঙ্গিদের মুখোমুখি
টিপু বাড়িতে নানা ঘটনার কথা জানিয়েছে ইতিমধ্যেই। যার মধ্যে রয়েছে সোমবার বিকেলের একটা ঘটনা। টিপু জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে তারা জঙ্গিদলের মুখে পড়েছিল। কোথাকার বাসিন্দা জিজ্ঞাসা করে তাদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু পরের দিনই গ্রামে তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় সেনা।
সেনার ইনফর্মার বলে সন্দেহ
টিপুর জানিয়েছেন, সোমবার জঙ্গিরা তাদেরকে গ্রাম ছাড়তে বলেছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। উপরন্তু মঙ্গলবাল গ্রামে সেনা তল্লাশিতে তাদের ওপরে সন্দেহ গিয়ে পড়ে বলেই অনুমান। যার জেরেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
ছবি সৌজন্য: পিটিআই